টলিউডের (Tollywood) দুই সুপারস্টার প্রসেনজিত চ্যাটার্জী (Prasenjit Chatterjee) এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta) একসঙ্গে প্রায় ৫০ টি ছবিতে অভিনয় করেন। তাদের অভিনীত প্রতিটি ছবিই সেই সময় হত সুপারহিট। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার জুটি দর্শকরা এতই পছন্দ করতেন যে সেই সময় তারাই হয়ে ওঠেন টলিউডের সেরা জুটি। এই দুজনের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি দেখলে মনে হত বাস্তবেও তাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে।
সত্যি সত্যিই বাস্তবে প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণার খুব ভাল বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। একসঙ্গে কাজ করতে তারা বেশ স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন। কিন্তু একটা সময় পর প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণার জুটিটা টলিউড থেকে কোথাও যেন হারিয়ে গেল। ওই সময় ইন্ডাস্ট্রিতে দর্শকরা তাদের খুব মিস করতেন। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর্দাতে কখনও প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার কেমিস্ট্রি ফুটে ওঠেনি আর।
সেই সময় প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার জুটি ভীষণভাবে সফল ছিলেন। তাদের নিয়ে জল্পনাও ছিল খুবই বেশি। প্রসেনজিত-ঋতুপর্ণাকে নিয়ে সমালোচনাও কিছু কম হয়নি। টলিউডে একচ্ছত্রভাবে বহুদিন পর্যন্ত কাজ করেছিল এই জুটি। তাদের খ্যাতির আড়ালে চাপা পড়ে গিয়েছিল অনেকের ভবিষ্যৎ। পরবর্তী দিনে তারা সরাসরিই আঙুল তোলেন ঋতুপর্ণা ও প্রসেনজিতের দিকে।
সফলতার শিখরে থাকতে থাকতেই ভেঙ্গে গিয়েছিল প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার জুটি। এই নিয়ে সেই সময় টলিউড ছিল তোলপাড়। আসলে এমন এক সময়ে এসে তাদের জুটি ভেঙ্গেছিল যে সময় তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। প্রসেনজিতের দ্বিতীয় বিয়ে তখন প্রায় ভাঙতে বসেছিল। এদিকে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার সম্পর্ক নিয়ে গুজব রটতে শুরু করে।
চারিদিকে তাদের সম্পর্কে এত বেশি মিথ্যে রটনা রটানো হচ্ছিল যে শেষমেষ তারা একসঙ্গে আর কাজ না করারই সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই ঋতুপর্ণা বিয়ে করে নেন। ঋতুপর্ণার বিয়ের সময়ও প্রসেনজিতের সমালোচনায় সরব হয়েছিল টলিউড। কেউ কেউ দাবি করতে থাকেন ঋতুপর্ণার বিয়ের দিন প্রসেনজিৎকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি যেন মুষড়ে পড়েছেন!
জুটি ভেঙে যাওয়ার পর আবার নতুন করে পর্দায় ফিরতে লেগেছিল ১০ টা বছর। শিবপ্রসাদ এবং নন্দিতার ‘প্রাক্তন’ ছবির হাত ধরে আবার এই জুটি বড় পর্দায় ফেরে। এরপর প্রসেনজিতের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’তেও ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেন ঋতুপর্ণা। বহু বছর বাদে আবার জনপ্রিয় জুটিকে পর্দায় ফিরে পেয়ে দারুণ খুশি হয়েছিলেন ভক্তরা।