রূপাঞ্জনা মিত্র (Rupanjana Mitra), নামটা বলে এখন আর আলাদা করে তাকে চিনিয়ে দিতে হয় না সিরিয়ালপ্রেমী মানুষদের। অন্তত যারা তাকে তার নিজের নামে চেনেন না তারা ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকের লাবণ্য সেনগুপ্তকে নিশ্চয়ই চেনেন। দীপার শাশুড়ি লাবণ্য এখন বাংলা ধারাবাহিকের সেরা শাশুড়ি মা। বাংলা সিরিয়ালের এই অভিনেত্রী দারুণ সাড়া পাচ্ছেন দর্শকদের থেকে।
রূপাঞ্জনার অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকরা। তবে তার মত একজন দক্ষ অভিনেত্রীকেও টলিউডে প্রবেশ করার মুহূর্তে কাস্টিং কাউচের মুখে পড়তে হয়েছিল। পরিচালক অরিন্দম শীলের (Arindam Sil) থেকে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার পেয়েছিলেন তিনি। তখন এই বিষয়ে কিছু প্রকাশ্যে আনতে না পারলেও পরে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন রূপাঞ্জনা।
রূপাঞ্জনা বলেন কয়েক বছর আগে পরিচালক অরিন্দম শীল তাকে নিজের কলকাতার অফিসে ডেকে পাঠান। ‘ভূমিকন্যা’ সিনেমার স্ক্রিপ্ট শোনানোর জন্য তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পরিচালকের থেকে এই প্রস্তাব পেয়ে তিনি সরাসরি তার অফিসে পৌঁছে যান। সেখানেই তার এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়। তিনি পরিচালকের অফিসে গিয়ে দেখেন সেখানে তারা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।
রূপাঞ্জনার অভিযোগ, পরিচালক নাকি তাকে একা পেয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। পরিচালকের ইশারা বুঝতে পেরে ভয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সেখান থেকে পালিয়ে আসেন রূপাঞ্জনা। তার এই অভিযোগ টলিউডে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। অরিন্দম শীল টলিউডের একজন অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক। ‘আবর্ত’, ‘এবার শবর’, ‘হর হর ব্যোমকেশ’ ও ‘ঈগলের চোখ’ ইত্যাদি বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবি তিনি পরিচালনা করেছেন।
অরিন্দম শীলের মত একজন নামী পরিচালকের বিরুদ্ধে মুখ খুলে কার্যত টলিউড কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন রূপাঞ্জনা। কেরিয়ারের শুরুতেই তাকে এমন একটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। চোখের বালি ধারাবাহিক দিয়ে বাংলা টেলিভিশনের পর্দাতে তিনি অভিনয় করতে শুরু করেন। দেখতে দেখতে ইন্ডাস্ট্রিতে ২২ টা বছর কাটিয়ে ফেললেন রূপাঞ্জনা।
চোখের বালির পর এক আকাশের নিচে, তিথি অতিথি, আঁচল, বেহুলা, দুর্গা থেকে আজ অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি সুনাম পেয়েছেন। টেলিভিশনের পাশাপাশি বহু বাংলা সিনেমাতেও তিনি কাজ করেছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল প্যান্থার – হিন্দুস্থান মেরি জান, কাটাকুটি, তিন তনয়া, ম্যাংগো মৈনাক , প্রেমের ফাঁদে কাকাতুয়া, জিংগেল বেল, দাদার আদেশ ইত্যাদি।