এখন আকাশে-বাতাসে শোনা যাচ্ছে বিয়ের সানাই। টলিউডের অভ্যন্তরে কান পাতলেও শোনা যাচ্ছে সানাইয়ের সুর। এই বছর অনেক নামিদামী তারকা বিয়ে পিঁড়িতে বসেছেন। বিয়ের এই মরসুমে অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চ্যাটার্জীও (Sujoy Prasad Chatterjee) মনে মনে বিয়ে সম্পর্কে হরেকরকম ভাবনা ভাবছেন। সেই সঙ্গে ফাঁস করলেন তার একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের কিছু না জানা কথা।
সমকামীতা, বিষয়টা আজও সমাজের নজরে ঠিক স্বাভাবিক বিষয় বলে গণ্য হয় না। তবে সুজয়প্রসাদ মুখার্জী তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অকপটে মুখ খুললেন। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, বিয়েটা কি আসলে কোনও রূপকথার গল্প নাকি ঈশপের গল্প? বিয়ে থেকে কি কোনও নীতিশিক্ষা মেলে? সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি পোস্ট করে এমনই কিছু প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।
গোলাপি রঙের ধুতি এবং ধূসর রঙের পাঞ্জাবি পরে সম্ভবত কোনও বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি লিখেছেন যে বছর তার বেলাশেষে মুক্তি পেল, সেই বছরই নাকি বিয়ের জন্য সব থেকে বেশি অনুরোধ আসে তার কাছে। মেসেঞ্জারে বহু মহিলা তাকে প্রেম নিবেদন করেছেন। একজন তো এমনও বলেন, “আপনাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না।”
এখন অনেক হিতাকাঙ্খী বন্ধু তাকে উপযুক্ত পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিতে চান। তবে অভিনেতা হেসেই উড়িয়ে দেন। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজারের কাছে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “মাঝে মধ্যে মনে হয় কোথাও কি অসম্পূর্ণতা রয়ে গেল? আমার তো কোনদিন বিয়ে হবে না। সামাজিক স্বীকৃতি পাব না। এটা কি তবে একটা অসম্পূর্ণতা? তারপরই মনে হয় এটা তো কেবল একটা সামাজিক অনুষ্ঠান। বন্ধুত্বযাপনের সঙ্গে এটার কোনও সম্পর্ক নেই।”
অভিনেতা জানিয়েছেন, একটি মেয়ে তাকে রোজ মেসেজ করতেন, বহু চিঠি লিখতেন। তিনি মেয়েটিকে ডেকে বুঝিয়েছিলেন। তবুও সে সবকিছু জেনেই তার সঙ্গে থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু অভিনেতা নিজেই রাজি হননি। সুজয়প্রসাদের কথায়, “পুরুষদের প্রেমটা একটু অন্যরকম হয়। আমি অনেক বিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম। কিন্তু দেখেছি সেই সব পুরুষদের কোনও অবস্থান ছিল না। আমি কখনও কারও ঘর ভাঙিনি। কিন্তু বিয়েটা আমার কাছে রূপকথার গল্পের মতো। যা শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া যায়।”
উল্লেখ্য, ‘বেলা শেষে’র সিক্যুয়েল ‘বেলা শুরু’তেও অভিনেতাকে সমকামী চরিত্রেই দেখানো হয়। স্বামী-স্ত্রী হলেও ঋতুপর্ণার সঙ্গে তার ছিল অন্যরকমের সম্পর্ক। কিছুদিন আগে তিনি একটি ইন্দো-ব্রিটিশ প্রোডাকশনের কাজ শেষ করেছেন। আরও একটি ছবির শুটিং শেষ করেছেন সদ্য।