ভক্তদের কাছে ভগবানের মত অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। গত ৫ দশক ধরে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে কোটি কোটি মানুষের মনে রাজত্ব করছেন অমিতাভ। তার মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনায় রোজ প্রার্থনা করেন ভক্তরা। তবে এই বাংলা তাকে যেন একটু বেশিই ভালবাসে বরাবর। আবার অমিতাভের কাছেও বাংলার আলাদাই গুরুত্ব রয়েছে। তবে অমিতাভ বচ্চনকে তার বাঙালি ভক্তরা যেমন ভালবাসেন, তেমন ভালবাসা অন্য কোথাও খুঁজেও পাওয়া যাবে না।
আরব সাগরের তীরে মুম্বাইয়ের জলসা বাংলোতে পরিবার নিয়ে থাকেন শাহেনশা। তবে জানেন কি মুম্বাই থেকে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দূরে খোদ কলকাতা শহরেও অমিতাভ বচ্চনের জন্য একটি বিরাট বড় আস্তানা রয়েছে? সেখানে রোজ দিন তাকে পুজো করে থাকেন ভক্তরা। বলিউডের এই সুপারস্টারকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করেন ভক্তরা! দূর দুরান্ত থেকে রোজ ছুটে আসেন তারা।
অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিনে তাকে এক ঝলক দেখতে পাওয়ার আশায় জলসার সামনে হাজির হন শয়ে শয়ে ভক্ত। তবে কলকাতার মানুষরা তাদের ভগবানকে নিজের মনের মধ্যে বসিয়েছেন। তার জন্য গড়ে তুলেছেন একটা আস্ত মন্দির। অমিতাভ বচ্চনের এই মন্দিরটি রয়েছে কলকাতা শহরের তিলজলা এলাকায়। এখানে যখন খুশি যে কেউ অমিতাভের দর্শনের জন্য আসতে পারেন।
রোজ সকাল-বিকেল দু’ঘণ্টার জন্য খোলা থাকে এই মন্দিরটি। সকালে ১০-১১টা এবং বিকেলে ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত যে কেউ অমিতাভের দর্শনে আসতে পারেন। যদি আপনিও অমিতাভ বচ্চনের বড় ভক্ত হয়ে থাকেন এবং কালেভদ্রে তিলজলায় যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই মন্দির থেকে। বিশেষত অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিনে এখানে বেশ ধুমধাম হয়। তার মূর্তির সামনে কেক কেটে জন্মদিনের সেলিব্রেশন হয়।
সন্দীপ পতৌদিয়া নামের এক ব্যক্তি অমিতাভ বচ্চনের এই মন্দিরের দেখাশোনা করে থাকেন। সিনিয়র বচ্চনের ৮০ তম জন্মদিনে ৮০ জন দুস্থ বাচ্চাকে পাত পেড়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। তবে শুধু জন্মদিন নয়, অমিতাভের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতেও এখানে উৎসবের আয়োজন হয়। দুস্থ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ায় এই সংস্থা।
অমিতাভ বচ্চনের নামে এখানে কখনও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিলি করার বন্দোবস্ত করা হয়। কখনও আবার তাদের বিনামূল্যে সিনেমা দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এখানে ঢুকতে গেলে কিন্তু মন্দিরের মতই জুতো খুলে প্রবেশ করতে হবে। মন্দিরে ঢুকলেই দেখা যাবে সিংহাসনে বসে রয়েছেন শাহেনশা। কাঁচা-পাকা চুল-দাড়ি, গলা বন্ধ পোশাক এবং গলাতে রয়েছে একটি রজনীগন্ধার মালা।