বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রীরা খুব কম বয়সেই সিনেমার পর্দাতে পা রাখেন। ১৮ বছর পেরোনোর আগেই কেরিয়ারের গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়েছেন তারা। তবে শুধু কেরিয়ার নয়, ১৮ বছর পেরোনোর আগেই বলিউডের বেশ কিছু অভিনেত্রী বিয়ে করে সংসার ধর্মও পালন করতে শুরু করেন। ৭০-৮০ এর দিকে এমনই ৫ জন অভিনেত্রীর খবর মিলে যারা খুব কম বয়সে (Bollywood Actress who got married at younger age) বিয়ে করেছিলেন। দেখে নিন এক নজরে এই তালিকায় রয়েছেন কারা।
ডিম্পল কাপাডিয়া (Dimple Kapadia) : এই বলিউড সুন্দরী মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিনয় জগতে পা রাখেন। প্রথম ছবি ‘ববি’ তুমুল হিট হওয়ার সুবাদে ডেবিউ করার পরপরই তিনি ইন্ডাস্ট্রির টপ নায়িকাদের মধ্যে সুনাম অর্জন করতে পেরেছিলেন। এরপর ১৯৭৩ সালে সুপারস্টার রাজেশ খান্নার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র 11 বছর পরই তারা আলাদা হয়ে যান। যদি তাদের আইনত বিচ্ছেদ কখনও হয়নি।
দিব্যা ভারতী (Divya Bharti) : বলিউডে পা রাখার পরপরই অপার সৌন্দর্য এবং অভিনয় দক্ষতার কারণে কম সময়ের মধ্যেই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন দিব্যা। কেরিয়ার শুরু করার মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তিনি প্রায় দেড় ডজন ছবিতে অভিনয় করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই তার সাফল্য আকাশ ছুঁয়েছিল। ১৯৯২ সালে তিনি সাজিদ নাদিয়াদওয়ালাকে বিয়ে করেন। বিয়ের মাত্র এক বছরের মধ্যেই বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় দিব্যার।
ভাগ্যশ্রী (Bhagyashree) : বলিউডে সালমান খানের বিপরীতে কেবল একটিই ছবিতে অভিনয় করেন ভাগ্যশ্রী। সেই ছবির নাম ছিল ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবি থেকে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। ভাগ্যশ্রী-সালমানের জুটি নিয়ে দর্শকদের ক্রেজ ছিল চোখে পড়ার মত। তবে ছবির শুটিং চলাকালীনই তিনি তার প্রেমিক হিমালয় দাসানিকে বিয়ে করে নেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর।
নীতু কাপুর (Neetu Kapoor) : ৮০ এর দশকে বলিউডের সেরা নায়িকাদের মধ্যে নীতু কাপুরের নাম থাকত প্রথম সারিতে। ওই সময় নীতু এবং ঋষির জুটি নিয়ে পাগল ছিলেন দর্শকরা। অনস্ক্রিন রোমান্স করতে করতে বাস্তবেও তাদের মধ্যে প্রেম হয়। ১৯৮০ সালে ২১ বছর বয়সে ঋষি কাপুরকে বিয়ে করেন নীতু। বিয়ের পর তাকে আর সেভাবে অভিনয় করতে কখনও দেখা যায়নি।
সায়রা বানু (Saira Banu) : বলিউডের এই অভিনেত্রীও খুব কম বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ১৯৬৬ সালে ৪৪ বছর বয়সী দিলীপ কুমারের সঙ্গে যখন তার বিয়ে হয় তখন সায়রার বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। নিজের দ্বিগুণ বয়সী অভিনেতাকে বিয়ে করার জন্য সায়রাকে তখন অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল। তবে দিলীপ কুমারের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি তার পাশে থেকেছেন।