গত কয়েক সপ্তাহের ফলাফল এই সপ্তাহেও ধরে রাখল ধূলোকণা (Dhulokona)। শুধু স্টার জলসার (Star Jalsha) টপার নয়, এই সপ্তাহেও জি বাংলা এবং স্টার জলসার অন্যান্য সমস্ত ধারাবাহিককে পেছনে ফেলে হয়ে উঠেছে সেরার সেরা। দর্শকরা যতই বিরক্তি প্রকাশ করুন না কেন, লালনের পরকীয়া দেখানোতেই কিন্তু শেষমেষ টপার হয়েছে লীনা গাঙ্গুলীর (Leena Ganguly) লেখা এই সিরিয়াল।
তবে এবার ধারাবাহিকের গল্পে ব্যাপক পরিবর্তন আনছেন লেখিকা। টিআরপিতে কেবল ৭.৮ নম্বর নিয়ে খুশি নয় ধূলোকণা। তাই তো এবার ধারাবাহিকের গল্পের মোড় আবার ঘুরে যাবে। বিশেষত ধারাবাহিকের নায়িকা চরিত্রে আসছে এক বড় পরিবর্তন। এতদিন ধুলোকণার নায়িকা ছিল ফুলঝুরি ওরফে মানালি দে। তবে এবার জানা যাচ্ছে ফুলঝুরি নাকি আর ধুলোকণার নায়িকা থাকবে না।
এই সম্পর্কিত একটি বড় আপডেট মিলেছে। হালফিলে পর্বগুলিতেও তার আভাস পাচ্ছেন দর্শকরা। এখন লালনের চরিত্র নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। নিজের স্মৃতি ফিরে পেলেও কেন সে বারবার তিতিরের কাছে ফিরে যেতে চাইছে, কেনই বা ফুলঝুরিকে ডিভোর্স দিতে চাইছে, এইসব প্রশ্নের উত্তর দর্শকদের কাছে স্পষ্ট নয়। এখানেই লেখিকা এক দারুণ টুইস্ট দিতে চলেছেন।
লালন এখন শিশুদের মত আচরণ করছে। ফুলঝুরিকে ডিভোর্স দিলে তিতিরের কাছে ফিরে যাওয়া যাবে শুনেই বাচ্চাদের মত খুশি হয়ে ওঠে লালন। এতে ফুলঝুরি মনে মনে আঘাত পাচ্ছে। অথচ লালনের তাতে হুঁশ নেই। সে যেন তিতিরকে পেলেই খুশি। তিতিরকে না পেলেই অস্থির হয়ে ওঠে লালন। লালনের চরিত্রের আচমকা এই পরিবর্তন স্বাভাবিক নয় মোটেই। এর পেছনে রয়েছে একটা বড় রহস্য।
আসলে লেখিকা এখানে লালনকে মানসিকভাবে অসুস্থ দেখাতে চাইছেন। সেই সঙ্গে ফুলঝুরি তার মানসিক অবস্থার কথা না বুঝেই তাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এই মুহূর্তে লালনের আশ্রয় বলতে একমাত্র তিতির ছাড়া কেউ নেই। এখন তিতিরই পারবে লালনকে সুস্থ করতে। তিতির একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তাই সেই এখন নায়িকা হিসেবে লালনের দেখভাল করবে এবং তাকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনবে।
অর্থাৎ এখন থেকে ধূলোকণার গল্পের মোড় ঘুরে গিয়ে একদিকে যেমন লালন-ফুলঝুরির বিচ্ছেদ দেখানো হবে অন্যদিকে তিতিরের সঙ্গে লালনের সম্পর্ক গড়ে উঠতেও দেখানো হবে। তাই এখন থেকে ধূলোকণার নায়িকা হিসেবে গুরুত্ব পাবে তিতির। তবে ফুলঝুরির গুরুত্ব তাই বলে কিছু কম হবে না। পরবর্তী দিনে লালন সুস্থ হলে তিতিরকে ছেড়ে এসে আবার ফুলঝুরির কাছেই ফিরতে চাইবে বলে বিশ্বাস দর্শকদের।