সবেমাত্র কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। আলিয়া এবং রণবীর কাপুরের (Ranbir Kapoor) মেয়ের বয়স এখনও ৫ দিনও পেরোয়নি, তবে ভাবী সন্তানের ভাল-মন্দের পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই করে রেখেছিলেন রণলিয়া। আলিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে আসার পর থেকেই নাকি বিয়ের পরিকল্পনা করছিলেন রণবীর। তাই তো তিন বছর আগেই রণলিয়ার সংসারের জন্য আগেই সেজে উঠেছিল তাদের স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ।
গত তিন বছর ধরে একটু একটু করে সাজানো হচ্ছিল ঋষি কাপুর এবং নীতু কাপুরের পুরনো বাড়ি কৃষ্ণ রাজ বাংলোটিকে। বিয়ের পর নাকি রণবীর-আলিয়ার এই বাড়িতেই ওঠার কথা ছিল। তবে তখনও পর্যন্ত কিছু কাজ ছিল বাকি। তাই তারা ঠিক করেন একেবারে সন্তানকে কোলে নিয়েই নতুন বাড়িতে প্রবেশ করবেন। এতদিনে সেই বাড়িও তৈরি হয়ে গিয়েছে। মেয়েকে নিয়ে এবার সেই বাড়িতে নতুন সংসার পাততে চলেছেন রণবীর এবং আলিয়া।
গত ৬ই নভেম্বর সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আলিয়া। কাপুর পরিবারের নতুন সদস্য আসার খবরে বলিউডে উপচে পড়ছে খুশি। করণ জোহর যেমন বলেছেন আলিয়ার সন্তান জন্ম নেওয়ার খবরে তার মনে হচ্ছে তিনি দাদু হলেন। অন্যদিকে রণবীরের মা নীতু ঠাকুমা হওয়ার খুশিতে আবেগে ভেসেছেন। পরিবারের নতুন সদস্যকে স্বাগত জানানোর জন্য কৃষ্ণরাজ বাংলো আলোয় সেজে উঠেছে।
৯ তলা এই বাড়ির গোটাটা জুড়ে থাকবেন রণলিয়া এবং তাদের সন্তান। সেই সঙ্গে রণবীরের মা নীতু কাপুরও থাকবেন তাদের সঙ্গে। মস্ত বড় এই বাড়ির একটি তলায় নীতু কাপুরের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। আরেকটি তলায় থাকবেন আলিয়া-রণবীর এবং তাদের সন্তানের জন্য একটা গোটা তলার পুরোটাই সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। রণবীরের বোন রিদ্ধিমা এবং তার ছেলেও মাঝে মাঝে এসে থাকবেন মায়ের কাছে।
ঋদ্ধিমা এবং তার সন্তানের জন্য বরাদ্দ রয়েছে আরও একটি তলা। অন্যান্য ফ্লোরগুলোর মধ্যে একটিতে রণবীর-আলিয়ার দপ্তরের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এখানে বসেই ছবির স্ক্রিপ্ট শুনবেন তারা। ছবি নিয়ে যাবতীয় আলোচনা এখানেই হবে। আর অন্যান্য ফ্লোরগুলোতেও নানারকম আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থা রয়েছে কাপুর পরিবারের জন্য।
গত বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ঋষি কাপুরের। নতুন এই বাড়িতে একটি অংশে ঋষির সমস্ত স্মৃতি রাখা হয়েছে। বুধবার রাতেই মেয়েকে নিয়ে নতুন বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন রণবীর এবং আলিয়া। সামনে-পিছনে নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িবেষ্টিত হয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই এদিন রণলিয়ার গাড়ি কাপুর বংশের রাজকন্যাকে নিয়ে মুম্বাইয়ের এইচ এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতাল থেকে পানি হিলসের কৃষ্ণরাজ বাংলোর দিকে রওনা দেয়।