বলিউডের (Bollywood) এভারগ্রিন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) আজ জন্মদিন। ৮০ বছরে পা দিলেন ভারতের এই মেগাস্টার। জন্মদিনে তার প্রতি উপচে পড়ছে ভক্তদের শুভেচ্ছা। ৮০ বছরেও তিনি যেভাবে নিজেকে ফিট রেখেছেন, ভবিষ্যতে আরও কয়েকটা বছর তিনি এভাবেই যেন সুস্থ সবল থাকেন, এমনটাই কামনা করছেন ভক্তরা। কারণ বলিউডকে যে তার এখনও অনেক কিছুই দেওয়া বাকি।
গত পাঁচ দশক ধরে বলিউডকে সমৃদ্ধ করে আসছেন অমিতাভ। এই বয়সেও চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন সিনেমার পর্দাতে। সিনেমার পর্দা থেকে টেলিভিশনের পর্দাতে তার অবাধ বিচরণ। গোটা বলিউড তাকে সিনিয়র বচ্চন হিসেবে সম্মান দেয়। তবে জানেন কি অমিতাভ বচ্চনের পদবী কিন্তু বচ্চন নয়। তার আসল পদবী আলাদা এবং অধিকাংশ মানুষই জানেন না।
দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে অমিতাভ বচ্চন নিজের নামের ব্রান্ড ধরে রেখেছেন। কিন্তু ভক্তরা তাকে যে নামে চিনেছেন, জেনেছেন সেটা তার আসল নামই নয়। নাম আসল হলেও পদবীটা কিন্তু বংশ পরম্পরায় পাননি অমিতাভ। তার বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন জন্মগত সূত্রে প্রাপ্ত পদবী ত্যাগ করে ‘বচ্চন’ পদবী গ্রহণ করেছিলেন।
আসলে অমিতাভদের আসল পদবী ছিল শ্রীবাস্তব। জন্মসূত্রে পাওয়া পদবী যদি ধরে রাখতেন তাহলে অমিতাভ বচ্চনের নাম হত অমিতাভ শ্রীবাস্তব। কিন্তু তার বাবা হরিবংশ রাই নিজের নামের অংশ থেকে শ্রীবাস্তব টাইটেল মুছে ফেলেন। এর পেছনে ছিল একটি বিশেষ কারণ। কারণটা জানলে তার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হতে বাধ্য।
হরিবংশ রাই ছিলেন একজন প্রখ্যাত লেখক। তিনি ছিলেন প্রগতিশীল এবং উদারনৈতিক মানসিকতার মানুষ। আসলে সমাজের জাতিগত ভেদাভেদ, উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণের যে সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে তিনি ছিলেন তার বিরোধী। জাতপাতের বিরোধী ছিলেন হরিবংশ রাই। তিনি মনে করতেন পদবীই জাতপাতের মানসিকতাকে উস্কানি দেয়। তাই তিনি পদবী বদলে ফেলার গুরুতর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
অমিতাভ যখন প্রথম স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন তখন তার বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন এবং মা তেজি বচ্চনের নাম অনুসারে অমিতাভের নামের পাশে ‘বচ্চন’ পদবী যোগ হয়। অমিতাভের স্কুল সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে বলিউডে সকলে তাকে এই নামেই চেনেন। তাই তার আসল পদবী যেন মুছেই গেছে তার জীবন থেকে।