অবশেষে মুক্তি পেল মনিরত্নম পরিচালিত এই বছরের সবথেকে প্রতীক্ষিত দক্ষিণী সিনেমা (South Indian Movie) পোন্নিয়িন সেলভান (Ponniyin Selvan)। ছবিটিকে নিয়ে এই বছরের শুরু থেকেই চর্চা ছিল তুঙ্গে। একে তো বড় বাজেটের দক্ষিণী সিনেমা, তার উপর আবার ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, শোভিতা ধুলিপালা, জয়রাম রবি, কার্তি, প্রকাশ রাজদের নিয়ে বিখ্যাত চোল বংশের কাহিনী নিয়ে বানানো এই সিনেমা। ছবিটি বানাতে ৫০০ কোটির বাজেট ধরা হয়েছিল।
দক্ষিণের এত বড় ছবির অংশ হতে পেরেছে এই বাংলাও। কারণ এই ছবিতে গান গেয়েছেন বাংলার মেয়ে অন্তরা নন্দী (Antara Nandi)। অন্তরাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই চেনেন। অনেকেই তার গান শুনেছেন। তিনি হলেন ‘নন্দী সিস্টার্সে’র (Nandi Sisters) বড় বোন। এই দুই বোন সোশ্যাল মিডিয়াতে গান গেয়ে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তাদের জনপ্রিয়তার কথা পৌঁছে গিয়েছিল সুদূর দক্ষিণেও।
ছবি মুক্তির পরই কার্যত আনন্দের বাঁধ ভেঙেছে অন্তরার। তিনি ছবি মুক্তির আগেই হিন্দি থেকে শুরু করে তামিল, তেলেগু, কন্নড় প্রতিটি সংস্করণের টিকিট কেটে রেখেছেন। বাবা-মাকে নিয়ে দুবেলা করে ছবি দেখতে চান অন্তরা। মণিরত্নমের মত পরিচালকের ব্লকবাস্টার ছবি দিয়েই শুরু হল তার প্লেব্যাক কেরিয়ার। এমন সৌভাগ্য আর কজনেরই বা হয়!
ইউটিউব থেকে শুরু হয়েছিল তাদের গান গাওয়ার জার্নি। ইউটিউবের পাশাপাশি ফেসবুকেও ভীষণ ভাইরাল হয় নন্দী সিস্টার্স। তারা ভিন্ন ভিন্ন ভাষাতে গান রেকর্ড করতেন। তেমনভাবেই দক্ষিণের এত বড় ছবির গান গাওয়ার সুযোগ এসেছিল অন্তরের হাতে। আনন্দবাজারের কাছে তিনি জানিয়েছেন ৬ই সেপ্টেম্বর তার কাছে একটা ফোন এসেছিল। সেখানেই তাকে জানানো হয় সুখবরটা।
অন্তরাকে জানানো হয় তার গাওয়া পন্নিয়িন সেলভানের ‘আলাইকাদে’ গানটিকে মনোনীত করা হয়েছে। প্রথমে তিনি নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তিনি আসলে মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যে তামিল গানটি রেকর্ড করে পাঠিয়েছিলেন। সেটাই যে মনোনীত হবে তেমনটা তিনি আশা করেননি। তবে তার গাওয়া গানটি শুনেই মনিরত্নমের টিম ফাইনাল করে নেয়। প্রথমে অবশ্য কাউকে কিছু জানাননি অন্তরা। গানটি রিলিজ হওয়ার পর তার বিশ্বাস হয়।
অন্তরা বলেছেন, “আমি ভাবতেই পারছিলাম না আমার গান শোনার পর রজনীকান্ত উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেবেন।” তিনি আরও বলেন, “আগে কেউ মাকে যদি জিজ্ঞেস করত মেয়ে কী করে, তাহলে মা বলত গায়িকা। এরপরই জিজ্ঞেস করতেন কোন ছবিতে গান গেয়েছেন? মা আর উত্তর দিতে পারত না। এখনকার মানুষ এভাবেই সবটা বিচার করেন। তখন বুঝলাম আমি কেউ না। এরপর নিজের কম্পোজ করা গানেই মন দিয়েছিলাম। অবশেষে উত্তর দেওয়ার মত কিছু একটা পাওয়া গেল’’।