জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠাই (Mithai) ধারাবাহিক নিয়ে ভক্তদের অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন। ভক্তরা চান ধারাবাহিকটি যেন বছরের পর বছর ধরে ঠিক এরকম ভাবেই দর্শকদের মাঝে খুশি ছড়াতে থাকুক। সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের সংসার ভরে উঠুক সন্তান-সন্ততিতে। ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনী নিয়ে সুখে সংসার করুক সিধাই। সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের ভক্তরা বহুদিন ধরেই জুনিয়র সিধাইয়ের অপেক্ষায় রয়েছেন। এবার তাদের সেই আশা পূরণ হতে চলেছে কি?
৫৬ বারের টপার মিঠাইয়ের টিআরপি কিন্তু এখন বেশ কম। অবিলম্বে যদি গল্পে নতুন কোনও চিত্তাকর্ষক মোড় না আসে তাহলে টিআরপি আরও কমবে। সেজন্যই কি এবার মোদক পরিবারে সদস্য বাড়ানোর কথা ভাবছেন নির্মাতারা? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ছবি দর্শকদের মনে এমনই নানা প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে। কারণ সেই ছবিতে মিঠাই এবং সিদ্ধার্থের কোলে একটা ছোট্ট শিশুকে দেখা যাচ্ছে।
মিঠাইয়ের সেটে এই ছোট্ট শিশু কী করছে? সেই কি তবে দর্শকদের বহু প্রতীক্ষিত ‘জুনিয়র সিধাই’? বাচ্চাটিকে দেখেই খুশিতে ভরে উঠেছে মিঠাই ভক্তদের মন। দর্শকদের একাংশ ধরেই নিয়েছেন যে এই শিশুই এবার মিঠাইয়ের গল্পের হাল ধরবে। মিঠাই রানীর আসন এখন বেশ টালমাটাল। একমাত্র জুনিয়র সিধাই-ই পারে ধারাবাহিককে আবার আগের জায়গা ফিরিয়ে দিতে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল এই ছবি দেখে মিঠাই ভক্তরাও দাবি করছেন এবার অন্তত মিঠাইকে প্রেগন্যান্ট দেখানো হোক। তাহলেই আবার উপচে পড়বে টিআরপি। যে ছবি নিয়ে এত বেশি মাতামাতি চলছে সেই ছবি আসলে কোনও শ্যুটের দৃশ্য ছিল না। আসলে প্রায় দিনই মোদক পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভক্তরা হত্যে দিয়ে পড়ে থাকেন শুটিং সেটের বাইরে। এই শিশুটিও সম্ভবত কোনও এক মিঠাই ফ্যানের সঙ্গেই এসেছিল।
শুটিংয়ের ফাঁকে মিঠাই-সিদ্ধার্থ ওরফে সৌমিতৃষা কুন্ডু ও আদৃত রায় সেটের বাইরে বেরিয়ে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সমস্ত মুহূর্ত ভক্তরা যত্ন করে সাজিয়ে রাখেন তাদের কাছে। মিঠাইয়ের বিভিন্ন ফ্যান পেজে সেইসব ছবি তুলে ধরা হয়। এই ছবিটিও তেমন একটি ফ্যান পেজ থেকেই পাওয়া গিয়েছে। তবে সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের কোলে এই বাচ্চাটিকে দেখে দর্শকরা গল্পে জুনিয়ার সিধাইয়ের এন্ট্রির আবদার জানাচ্ছেন।
View this post on Instagram
যদিও স্টুডিওপাড়াতে এই গুঞ্জন পুজোর পরই নাকি মিঠাই শেষ হয়ে যাচ্ছে। নির্মাতারা নাকি গল্পে নতুনত্বের অভাবে এবং টিআরপি কম থাকার কারণে এখনই গল্পের ইতি টানতে চাইছেন। যদিও নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করত পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস বলেছেন, ‘এরকম কথা আমিও শুনছি। তবে আমার কাছে অফিসিয়াল কোনও খবর নেই। শুধু বলব, আগেও যখন টিআরপি পড়ে এসেছিল, তখন এরকম খবর রটেছিল। একটা জিনিস তো মানতেই হবে কোনও জিনিস শুরু হলে তা শেষও হবে, সেটা কবে হবে তা আমি নিজেও জানি না।’