এই সপ্তাহের টিআরপি তালিকাতে সেরা হয়েছে স্টার জলসা (Star Jalsha) ধুলোকণা (Dhulokona) ধারাবাহিকটি। লীনা গাঙ্গুলীর (Leena Ganguly) লেখনীতে টিআরপি টপার হয়েছে লালঝুরি। লালনের মৃত্যু দেখিয়ে টিআরপিতে তেমন কোনও উন্নতি না হলেও লালন আর ফুলঝুরির মিল দেখিয়ে কিন্তু টিআরপি ছিনিয়ে নিয়েছে ধুলোকণা। কিন্তু তারপরেও গল্প দেখে দর্শকদের একাংশের মনে জমা হয়েছে ক্ষোভ।
আপাতত গল্পে দেখানো হচ্ছে সমুদ্রে ভেসে গেলেও লালন মরেনি। সে এখন রয়েছে একজন ডাক্তার বাবুর বাড়িতে। ডাক্তারের স্ত্রী তাকে নিজের ছেলের মত দেখাশোনা করছেন। এদিকে ফুলঝুরি আবার সেই বাড়িতেই রোগী দেখাশোনার কাজ নিয়ে এসেছে। অর্থাৎ এখান থেকেই লালন আর ফুলঝুরির মিলন সম্ভব। এদিকে আবার ডাক্তারের মেয়েও বিদেশ থেকে পড়াশোনার শেষে ফিরে আসছে তার বাড়িতে।
গল্পের এতদূর পর্যন্ত দেখেই দর্শকরা রে রে করে উঠেছেন লীনা গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে। তাদের দাবি লীনা গাঙ্গুলী ঘুরেফিরে সেই একই গল্প লিখছেন প্রত্যেকটা ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে। আর ধুলোকণার এই ট্র্যাকটা তো তিনি পুরো টুকেই দিয়েছেন ‘ইচ্ছেনদী’ এবং ’কুন্দ ফুলের মালা’ থেকে। যারা এই দুটি ধারাবাহিক দেখেছেন তারাও ধুলোকণার বর্তমান গল্পের সঙ্গে মিল খুঁজে পাবেন।
ইচ্ছেনদী, কুন্দ ফুলের মালাতেও দেখানো হয়েছিল নায়ক জলে ডুবে গিয়ে জ্ঞান হারায়। তারপর তারা দুজনেই চলে আসে ডাক্তারের বাড়িতে। এরপর সেই চেনা গল্প, ডাক্তারের বাড়িতে থেকে পরিবারের আপনজন হয়ে ডাক্তারের মেয়ের প্রেমে পড়ে যায় নায়করা। লালনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হতে চলেছে। লীনা গাঙ্গুলী একই স্ক্রিপ্ট দিয়ে ধুলোকণার গল্প লিখছেন। এতেই আপত্তি দর্শকদের একাংশের।
যদিও ধুলো ভক্তরা কিন্তু এতে আপত্তি তুলছেন। তাদের দাবি, এরকম অল্প বিস্তর সব ধারাবাহিকেরই গল্পের মধ্যে মিল পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে তারা আরও বলছেন যে কুন্দ ফুলের মালা, ইচ্ছেনদীর গল্পের সঙ্গে ধুলোকণার গল্পের অনেক পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়। তাই তারা শুধু একটা দিক বিবেচনা করেই ধুলোকণাকে বাকি ধারাবাহিকের কপি বলে মানতে নারাজ।
তবে তর্ক-বিতর্ক এখানেই থেমে থাকেনি। ট্রোলাররা লীনা গাঙ্গুলীর লেখা অন্যান্য ধারাবাহিক থেকে নজির নিয়েও প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন তিনি নাকি। ইচ্ছা নদীকে কপি করে ফাগুন বউ বানিয়েছিলেন। আবার নকশি কাঁথাতে একজন নায়ক দুই মেয়েকে বিয়ে করেছিল। গুড্ডিতেও সেই একই গল্প দেখাচ্ছেন লেখিকা। এসব দেখে নিন্দুকরা বলছেন, ‘উনার হয়তো এমনটাই পছন্দ’।