সেই প্রাচীন যুগ থেকেই মহিলারা তাদের রূপচর্চার জন্য ত্বকে প্রাকৃতিক নানা ধরণের উপাদান ব্যবহার করে আসছেন। আধুনিক যুগে অবশ্য কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি রূপচর্চার নানান ধরনের কসমেটিকস পাওয়া যায় বাজারে এবং সেগুলোর বেশ নামও রয়েছে। কিন্তু মৌমাছির বিষ (Bee Venom) দিয়ে রূপচর্চার কথা কখনও শুনেছেন কি? জানেন ত্বকের পরিচর্যায় এর কী মাহাত্ম্য?
প্রাচ্য হোক বা পাশ্চাত্য, রাজঘরাণার মহিলা মাত্রেই সুন্দরী। ভারতীয় রাণীদের সৌন্দর্যের রহস্য নিয়ে সাধারণের আগ্রহের অন্ত নেই। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে তারা বিভিন্ন জড়িবুটি ব্যবহার করতেন। তবে ব্রিটেনের রাণী ক্যামিলা পার্কারের (Camilla Parker) বিশ্বাস তার চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখছে মৌমাছির বিষ। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি মৌমাছির বিষের তৈরি ক্রিমের উপরেই আস্থা রেখে চলেছেন।
ব্রিটেনের প্রাক্তন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সদ্যই প্রয়াত হয়েছে। তার বদলে এখন সিংহাসনের দাবীদার তার ছেলে তৃতীয় চার্লস। চার্লসের বর্তমান স্ত্রী ক্যামিলা পার্কার হয়েছেন কুইন কনসর্ট। তার বয়স প্রায় ৭১ বছর ছুঁই ছুঁই। রানী বলে কথা, তার সাজগোজ, লাইফ স্টাইল আর ৫ জন সাধারণ মহিলার থেকে আলাদা। মৌমাছির বিষই তার সৌন্দর্যকে ধরে রেখেছে।
রাণী ক্যামিলা এই বয়সেও নিয়মিত রূপচর্চা করেন। ত্বকের পরিচর্যা করেন মৌমাছির বিষ দিয়ে। শুনতে অবাক মনে হলেও মৌমাছির বিষই নাকি তার চেহারায় টানটান ভাব ধরে রাখছে! বিখ্যাত রূপটান শিল্পী দেবোরা মিচেল ক্যামিলার জন্য এই বিশেষ ধরনের ক্রিম তৈরি করে দেন। এই বিষ দিয়ে ক্রিম তৈরি করার পদ্ধতিটাও বেশ অদ্ভুত।
মৌমাছি যখন হুল ফোটানোর জন্য সক্রিয় হয় তখন তার শরীর থেকে যে বিষ ক্ষরণ হয় সেই তরল বিষ থেকে তৈরি হয় ক্রিমটি। ত্বকে এই ক্রিমের ব্যবহারটাও কিন্তু বেশ কষ্টের। ত্বকের যে জায়গাতে এই ক্রিমটি লাগানো হবে সেখানে কেউ হুল ফোটানোর মত ব্যথা হয়। ফলে ওই অংশে রক্ত সঞ্চালনের হার বেড়ে যায়।
এর ফলে ওই অংশে নাকি কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। এই কোলাজেনই ত্বকে বয়সের ছাপ ঢেকে রাখতে পারে। উল্লেখ্য দক্ষিণ কোরিয়াতেও ত্বকের পরিচর্যায় মৌমাছির বিষের বহুল ব্যবহার রয়েছে। এটাই কোরিয়ান সুন্দরীদের রূপের রহস্য। সেই সঙ্গে ব্রিটেনের রাণীরও সৌন্দর্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে এই বিষের মধ্যেই।