মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো হয়ে উঠেছে শার্ক ট্যাঙ্ক ইন্ডিয়া (Shark Tank India)। নাচ-গান-কমেডির রিয়েলিটি শো বাদেও ভারতীয় টেলিভিশনে বেশ ভালমত জায়গা করে নিয়েছে এই ব্যবসায়ীক রিয়েলিটি শো। এখানে কয়েকজন বিনিয়োগকারী বা শার্ক এবং নতুন ব্যবসায়ীদের উপর ভর করে চলছে রিয়েলিটি শো। প্রথম থেকেই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন শার্করা। নামি দামি কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের বিচারকের আসনে বসিয়ে চলছে এই রিয়েলিটি শো।
স্বভাবতই এই রিয়েলিটি শোয়ের প্রত্যেক বিচারকের অনেক বড় ফ্যানবেস রয়েছে। রিয়েলিটি শো থেকে তারা কে কত টাকা পাচ্ছেন জানতে চান ভক্তরা। অনেকেই মনে করেন তারা হয়তো এপিসোড পিছু ৫ লক্ষ টাকা নিচ্ছেন। কেউ আবার দাবি করছেন ১০ লক্ষ টাকার কমে মোটেই পারিশ্রমিক নয় শার্কদের। তবে আসল সত্যিটা জানলে হয়তো চোখ কপালে উঠবে পারে আপনার।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আশনীর বলেন, “আমাদের কোনও পারিশ্রমিকই দেওয়া হত না। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেছি। এই শোয়ের মূল চিন্তাভাবনা বেশ স্পষ্ট ছিল। নির্মাতা মনে করতেন আমাদের কাছে টাকা রয়েছে। আমাদের Startups যথেষ্ট সফল। সেক্ষেত্রে আমরা বিনিয়োগ করতে পারব সফলভাবে। আমরা প্রত্যেকে নতুন Startups এর ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকা প্রত্যেকে বিনিয়োগ করব, এই প্রতিশ্রুতি আমাদের থেকে নেওয়া হয়েছিল।’’
অর্থাৎ বিচারকরা কেউই এই মঞ্চ থেকে একটি পয়সাও নেননি বলে দাবি করেছেন আশনীর। উপরন্তু তাদের প্রত্যেককেই শো চলাকালীন ১০ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করতে হয়েছে। টাকার জন্য নয়, বিনিয়োগকারীরা কার্যত নিজেদের ফেম বাড়াতেই এই রিয়েলিটি শোয়ের অংশ হয়েছিলেন। আশনীর ছাড়া ও বিচারকের আসনে রয়েছেন অনুপম মিত্তল, আমন গুপ্তা পীযূষরা। সোনি রীতিমতো রিসার্চ করেই কারা বিনিয়োগ করতে পারে তা খুঁজে বের করেছিল বলে জানিয়েছেন আশনীর।
এই শোয়ের অন্যান্য বিচারকের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আশনীর বলেন, “অনুপমকে (অনুপম মিত্তল) আমি আগে থেকেই চিনতাম। ওঁর কাছে একবার আমি বিনিয়োগের জন্য ‘পিচ’ করেছিলাম। এক মাসের মধ্যে ও আমার অফার গ্রহণ করেছিল এবং আমার আইডিয়াতে বিনিয়োগ করতে রাজি হয়। কিন্তু, সেই সময় আমি অন্য কারও থেকে বিনিয়োগ গ্রহণ করেছিলাম। এই শোতে অংশ নেওয়ার আগে আমন গুপ্তার সঙ্গে আমি এই শোতে একসঙ্গে অডিশন করি। পিযূষকে সবাই চেনেন। নমিতার সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ এই শোয়ে।”