সিনেমা বা সিরিয়ালের কিছু কিছু চরিত্র মানুষের মনে এমন ভাবে দাগ কেটে যায়, যে সেগুলি চট করে ভোলা যায় না। তেমনই একটি চরিত্র হলো জি বাংলা (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) ধারাবাহিকের সৃজনের মায়ের চরিত্র। পর্দার কৃষ্ণা দত্ত ওরফে অরিজিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arijita Mukherjee) এই চরিত্রের জন্য প্রশংসার পাশাপাশি শুনতে হয় একাধিক কটাক্ষ। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে সেই অভিজ্ঞতার কথাই শোনালেন অভিনেত্রী।
‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের বাবুর মায়ের চরিত্রটি নিয়ে বহুবার তৈরি করা হয়েছে মিম। এখন তো আবার রাস্তাঘাটে দেখলে কেউ কেউ এসে ‘বাবুউউ’ বলে ডাকে ‘বাবুর মা’ ওরফে অরিজিতাকে। শুনেই হেসে গড়িয়ে পড়লেন মঞ্চে উপস্থিত সকলে। তবে প্রশংসার পাশাপাশি শুনতে হয়েছে ট্রোলিং এবং নেতিবাচক মন্তব্যও। মাঝে মাঝে করা হয়েছে ব্যক্তিগত আঘাতও। তবে এসব কিছুকেই পাত্তা দিতে নারাজ অরিজিতা। তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি হওয়া মিম নিয়ে রীতিমতো মজা করেন তিনি। তবে এই ব্যক্তিগত কোন মন্তব্য উড়ে এলে খারাপ লাগে, বলেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি বাংলা আজ তাকের সঙ্গে মন খোলা আড্ডায় মেতে ছিলেন অভিনেত্রী অরিজিতা। মিম প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “আমাকে অনেকে মিম পাঠায়। আমাদের একটা গ্রুপ আছে নিম ফুলের মধু- র সবাইকে নিয়ে। যার নামে মিম বের হয়, ওখানে সব শেয়ার করা হয়। আমাকে নিয়ে যে কত কুৎসিত মিম বেরিয়েছে কি বলবো। এই কিছুদিন আগে ভূত চতুর্দশীতে একটা অদ্ভুত মিম বানিয়েছিল যা দেখে হেসে লুটেপুটি খাই আমরা।” তবে কিছু কিছু বক্তব্য যে তাকে আঘাত দেয় তাও বলতে ভোলেননি পর্দার কৃষ্ণা।
অরিজিতা বলেন, “একটি অভিনয়ের মধ্যে ভালো খারাপ দুটোই থাকে। ভালো খারাপের দ্বন্দ্বটাই একটি গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়। গল্পের জন্য কৃষ্ণা দত্তকে যখন খারাপ হতে হচ্ছে তার মানে বুঝতে হবে গল্পের চরিত্রের খাতিরে এমনটা করতে হচ্ছে তাকে। দর্শকের কৃষ্ণাকে খারাপ লাগতেই পারে, এই নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। তবে কথাগুলো যখন ব্যক্তি আক্রমণ হিসাবে একজন অভিনেতাকে বলা হয়, তখন আমার মনে হয় কি করে এতটা নিচে নেমে যেতে পারে একজন মানুষ?”
অভিনেত্রী আরো বলেন, “নেতিবাচক মন্তব্য আমি নিজে না পড়লেও সেগুলি আমার কাছের মানুষজন পড়েন আর তাদের ভীষণ খারাপ লাগে। আমার মায়ের চোখেও বেশ কিছু খারাপ কমেন্ট পড়েছে। যেগুলো চরিত্রকে নিয়ে বলা হয় সেগুলোতে মা কোন কথা বলে না কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করলে মায়েরও খুব খারাপ লাগে। একবার একজন লিখেছিল, আপনার কঠিনতম রোগ হোক, আপনি বিছানায় পড়ে থাকুন, তাহলে আমরা শান্তি পাই। আমার মনে হয় কোন প্রকৃত দর্শক এমন কমেন্ট কখনোই করবেন না।”
আরও পড়ুন : ছোটতেই বন্ধ পড়াশোনা, কম বয়সে বিয়ে! কিভাবে অভিনেত্রী হলেন ‘নিম ফুলের মধু’র ঠাম্মি লিলি চক্রবর্তী?
কিছুদিন আগেই Abp-কে দেওয়া আরো একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, “আমার হাতে অস্ত্র বলতে অভিনয়টাই। চাকরি ছেড়ে ধারাবাহিকে এসেছি শুধুমাত্র ভালোবেসে। অভিনয়ের মাধ্যমে যদি মানুষের মধ্যে কোন ভালো বার্তা দিতে পারি, সেটাই আমার সাফল্য। ভালো চরিত্রকে তুলে ধরতে তো আর বিপরীতে একটি খারাপ চরিত্র থাকা ভীষণ প্রয়োজন। আমি না হয় খারাপটাই হলাম। এক সময় যখন চাকরি করতাম তখন সহকর্মীদের মুখে তাদের বাড়ির কথা শুনতাম। এখন আমার বিশ্বাস করতে অসুবিধা হয় না, এমন চরিত্র সত্যিই আছে। আমি তো এই চরিত্রটাকে সেলিব্রেট করি, কারন আমার চরিত্রটা রয়েছে বলেই পর্নার লড়াইগুলি এতটা গ্রহণযোগ্য হয় দর্শকদের কাছে।”
View this post on Instagram