Disco Dancer Box Office Collection : এখন ১০ কোটি টাকার ব্যবসা করা একেবারে জল ভাত যে কোন বলিউড (Bollywood) তারকাদের পক্ষে। যদিও সম্প্রতি এমন কিছু সিনেমাও মুক্তি পেয়েছে যেগুলি ১০০০ কোটি টাকার ক্লাবে প্রবেশ করেছে সগর্বে। তবে আজ এমন একটি সিনেমার কথা বলব যেটি ৮০-র দশকে ১০০০ কোটি টাকার ক্লাবে প্রবেশ করতে পেরেছিল। আজ সেই সিনেমা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু কথা আলোচনা করব।
শাহরুখ খানের পাঠান হোক অথবা আমির খানের দঙ্গল, ১ হাজার কোটি টাকার ক্লাবে ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে অনেক বলিউড সিনেমা।শুধু বলিউড নয়, দক্ষিণী ছবি বাহুবলী ২, কেজিএফ ২ অথবা আরআরআর, ১ হাজার কোটি টাকার ক্লাবে প্রবেশ করার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তবে আশির দশকে একটি সিনেমা ১ হাজার কোটি টাকার ক্লাবে প্রবেশ করেছিল, যখন কোন সিনেমার পক্ষেই এত টাকা আয় করা অসম্ভব ছিল।
ব্লকবাস্টার এই সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন এক বাঙালি অভিনেতা, ঠিকই ধরেছেন কথা বলছি ডিস্কো ড্যান্সার (Disco Dancer) সিনেমার। ১৯৮২ সালে বব্বর সুভাষের পরিচালনায় মুক্তি পায় এই সিনেমাটি, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ২ কোটি টাকার বাজেট নিয়ে তৈরি এই সিনেমাটি বক্স অফিসে আয় করেছিল ১০০ কোটি টাকা।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, দেশের মাটিতে সিনেমাটি ১০০ কোটি টাকা আয় করলেও বিদেশের মাটিতে প্রায় আট গুণ বেশি ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি। জানা যায়, এই সিনেমাটি রাশিয়ায় মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় ১২ কোটি টাকার ব্যবসা করে একদিনে। রাশিয়া থেকে মোট ৮৩২ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি।
‘ডিস্কো ড্যান্সার’ প্রথম কোন ভারতীয় সিনেমা যেটি বক্স অফিস থেকে ১০০ কোটি টাকার ক্লাবে প্রবেশ করেছিল। বাপ্পি লাহিড়ীর গান এবং মিঠুন চক্রবর্তীর নাচে সেই সময় মেতে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। প্রায় তিন দশক ধরে বিদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী সিনেমা হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রেখেছিল। ২০১৫ সালে সালমান খান অভিনীত ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ বিশ্বব্যাপী কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় করে ডিস্কো ড্যান্সার সিনেমাকে ছাপিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : শ্রাবন্তী তো কিছুই না, সর্বাধিক বিয়ে করে রেকর্ড করেছেন এই বলিউড অভিনেত্রী
আরও পড়ুন : ৫০০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি! ইডির নজরে রণবীর সহ এই ২০ বলিউড সেলিব্রিটি
২০১৫ সালে কবির খান পরিচালিত বাজরাঙ্গি ভাইজান সিনেমায় সলমান খান ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন কারিনা কাপুর খান এবং নাওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। এই সিনেমাটি সালমান খানের সবথেকে উৎকৃষ্ট সিনেমা ছিল বলে দাবি করেছিলেন সালমান খানের বাবা সেলিম খান। পরবর্তীকালে আমির খানের ‘দঙ্গল’ এবং ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ বিশ্বব্যাপী আয় করেছিল কয়েক হাজার কোটি টাকা।