এশিয়ার বিখ্যাত শিল্পপতি হলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। মুকেশ আম্বানি প্রতি বছর কোটি টাকা আয় করেন। তার অনেক সম্পত্তি রয়েছে, যা তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে অর্জন করেছেন। বর্তমানে তার পরিবারের সাথে তিনি রাজকীয় জীবনযাপন করেন। এমনকি আম্বানি পরিবার ছুটি কাটাতে যেই রিসোর্টে যান তার এক রাতের ভাড়া জানলেও আপনি রীতিমতো হা হয়ে যাবেন।
আমরা কমবেশি সকলেই পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে পছন্দ করি। তো আমাদের ছুটি কাটানোর জায়গায় মানেই দার্জিলিং, দীঘা, পুরী। কিন্তু মুকেশ আম্বানি ভারতের মধ্যে নামকরা শিল্পপতি। তাই তার ঘুরতে যাওয়া জায়গা গুলোও সেই রকমই হবে। নীতা এবং মুকেশ আম্বানি দুজনেই সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত সুইস্ আল্পস্-এ ছুটি কাটাতে যেতে পছন্দ করেন। এখানকারই এক অতি বিলাস বহুল রিসর্টে স্বপরিবারে ছুটি কাটান মুকেশ আম্বানি।
তবে আপনারও হয়তো এরপর এই রিসোর্টে যেতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার আগে সেই রিসোর্টে ভাড়া সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। এই সুন্দর রিসোর্টের নাম হল বুর্গেনস্টক রেসর। এটি সেই জায়গা যেখানে ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবার ছুটি উদযাপন করতে আসে। যখনই আম্বানি পরিবার এখানে যায়, তারা এখানে আগে থেকেই রয়্যাল এবং প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট বুক করে থাকেন।
১৮৭৩ সালে নির্মিত, এই রিসোর্টটি বছরের পর বছর ধরে হলিউড সেলিব্রিটি এবং বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ীদের জন্য একটি হটস্পট হয়ে উঠেছে। এর রয়্যাল এবং প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের মোট ভাড়া প্রায় ৬১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও এই বিলাসবহুল রিসোর্টের একটি সাধারণ রুমের ভাড়াই প্রতিদিন প্রায় ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে রয়েছে আরও অনেক কিছু ও সুযোগ-সুবিধা।
আপনি জানলে অবাক হবেন, এই বিলাসবহুল রিসোর্টটিতে ১০টি বার, বেশ কয়েকটি রেস্তোঁরা এবং ইন-হাউস জাকুজির মতো ফিচারও রয়েছে। এই রিসোর্টটি লুসার্ন হ্রদের তীরে একটি পাহাড়ের উপর অবস্থিত। তবে আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে এই রিসোর্টে থাকা সম্ভব নয়। কারন এর একদিনের ভাড়াও আমাদের সারাজীবনের সঞ্চয়ের থেকে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন : রুপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী, মুকেশ আম্বানির শালী আসলে কে? রইল তার আসল পরিচয়
আরও পড়ুন : Mukesh Ambani সারাদিনে কি কি খান? দেখে নিন মুকেশ আম্বানির ডায়েট চার্ট
তবে জানা গেছে, করোনাকালে মুকেশ আম্বানি নীতা আম্বানি, আকাশ আম্বানি, ইশা আম্বানি, অনন্ত আম্বানি তাদের সন্তানদের নিয়ে এই রিসোর্টে থাকতে এসেছিলেন। সেই সময় আম্বানি পরিবার রয়্যাল ও প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট বুক করেছিল। এখানকার দিনপ্রতি নাকি ভাড়া ছিল ৬১ লক্ষ টাকা। বলা হয়, আম্বানি পরিবার তখন করোনা থেকে নিজেদের বাঁচাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে এখানে থাকতে এসেছিলেন।