Is Singer Nachiketa Chakraborty Affected By Cancer : বাঙালি গায়ক শিল্পীদের মধ্যে নচিকেতা চক্রবর্তী (Nachiketa Chakraborty) খুব জনপ্রিয় একজন গায়ক। তিনি গত ৩০ বছর ধরে বাংলা গান গাইছেন এবং তার জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন গানের মাধ্যমে। তাকে বলা হয় বাংলার জীবনমুখী গায়ক। নীলাঞ্জনা (Nilanjana), থেকে বৃদ্ধাশ্রম (Briddhashram), নচিকেতা চক্রবর্তীর অ্যালবামে রয়েছে অসংখ্য সুপার হিট গান। এমন একজন জনপ্রিয় অভিনেতাকে নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য।
নচিকেতা চক্রবর্তী নিজেই বলেন নচিকেতা তৈরি করা যায় না। নচিকেতা জন্মান। তিনি দাবি করেছেন আগামী ৫০ বছরে কোনও নচিকেতার জন্ম হবে না। তবে কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে গায়ক নাকি গুরুতর অসুস্থ। তার সেই অসুস্থতার কারণ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। এমনকি কিছু মাস আগে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর তার হঠাৎ শরীর খারাপ হয়। অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।
তারপর থেকেই শোনা যেতে থাকে নচিকেতা নাকি ক্যান্সার আক্রান্ত। এই খবর পাওয়ার পর নচিকেতার ভক্তদের মনে একরাশ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নিজের কানকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না তারা। ৯০ এর দশক থেকে বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে নচিকেতা একজন বড় গায়ক। তিনি কিনা মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত? এমনকি এটাও শোনা যেতে থাকে ক্যান্সার রোগ নচিকেতার গলায় প্রভাব ফেলছে!
সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলা হয়। নচিকেতা এই প্রশ্নে রীতিমত অবাক হয়ে যান এবং তিনি ভীষণ বিরক্ত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “দাপিয়ে শো করে বেড়াচ্ছি। আর এর মধ্যে কারা নাকি রটাচ্ছে আমার নাকি ক্যান্সার হয়েছে। কোনও কিছু হয়নি আমার। বলে বলে অসুস্থ করে দেবেন না।”
নচিকেতা বরাবরই ঠোঁটকাটা। এমনকি তিনি তার গানের মাধ্যমেও সমাজের বিভিন্ন সমস্যার জ্বলন্ত উদাহরণ তুলে ধরেছেন বারবার। রাজনীতি এবং সামাজিক পরিস্থিতির অবনমন গানের কথার মাধ্যমে ঝরে পড়েছে তার কন্ঠ থেকে। জোর গলায় গানের মাধ্যমে একমাত্র তিনিই বলতে পারেন, ”মন্ত্রীরা সব আস্ত বদের ধারী”। যদিও শাসক দলে নাম লেখানোর পর নচিকেতার গলায় এখন আর তেমন প্রতিবাদের সুর শোনা যায় না।
আরও পড়ুন : বলিউডের এই অভিনেত্রী বক্স অফিসকে দিয়েছেন ৪০০০ কোটি টাকার সিনেমা! চমকে দেবে পরিচয়
আরও পড়ুন : এই রাজস্থানি রাজপ্রাসাদে বসবে রাঘব-পরিনীতির বিয়ের আসর! আয়োজন দেখলে ঘুরে যাবে মাথা
নচিকেতা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন কারণে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম দখল করে নেন। বিশেষ করে তাকে বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা ‘ধান্দাবাজ’ বলে থাকেন। যদিও নচিকেতা নিজেকে নিয়ে সগর্বে বলেন, “আমাকে ডি গ্ল্যামারাইজ কতগুলো পাঁঠা করতে পারবে না। আমি বাংলা ভাষার উপর যে দাগটা রেখে গিয়েছি আমার সম্পর্কে দু-পাঁচটা বাজে কথা বলে তারা আমাকে ম্লান করতে পারবে না।”