রিলায়েন্সের (Reliance) বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল খুব কম সময়ের মধ্যে। আর তারপরেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায় মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবার। বর্তমানে বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় থাকা মুকেশ আম্বানির। এই তালিকায় ১১ নম্বরে নাম ছিল তার। শুধু ব্যবসায়ীক সাফল্যের পর থেমে থাকেনি এই সংস্থা, নতুন নতুন প্রোজেক্টও উদ্বোধন করেছেন তারা। ফুটবল ক্লাব থেকে শুরু ‘আই পি এল’, প্রায় সব কিছুতেই ইনভেস্ট করেছেন এই সংস্থা। বেড়েছে সংস্থার শেয়ার দড়।
তবে সংস্থার এই উত্থানের পিছনে একা মুকেশ আম্বানি ছিলেন না। তার পরিবারের অনেকেই রয়েছেন এই উন্নতির পিছনে। এই তালিকায় এমনি ৫ জনের নাম দেওয়া হল তালিকায়।
১. নীতা আম্বানি (Nita Ambani): মুকেশ আম্বানির স্ত্রী ও পরামর্শ দাতাও হলেন নীতা। তাই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিতে নীতার বড় ভূমিকা রয়েছে। ২০১০ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া হোটেলের ১৪.৮ শতাংশ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল নীতার কথা শুনে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিতে নীতার এই ভূমিকার কথা একবার বলেছিলেন অনিল আম্বানিও। তাই তাকে ছাড়া সংস্থা এতদূর এগিয়ে যেতে পারত নি।
২. মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani): রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান ও এমডি হলেন মুকেশ আম্বানি। ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু করার জন্য স্পেকট্রাম কেনা, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনা ও জিও চালু করার সিদ্ধান্ত ছিল মুকেশ আম্বানির। এই চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই তাকে ধনকুবের বানিয়েছে ও সংস্থা এগিয়ে গিয়েছে উন্নতির পথে।
৩. মনোজ মোদী (Manoj Modi): মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবারের মতো মনোজ খুব বেশি প্রচারের আলোয় থাকতে দেখা যায় না। কিন্তু ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে মনোজের অবদান অনস্বীকার্য। তাই তাকে ছাড়া রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। তাকে অনেকে মুকেশ আম্বানির ডান হাত বলেও ডাকেন। ফেসবুকের সঙ্গে ৫.৭ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
৪. ঈশা আম্বানি (Isha Ambani): মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির কন্যা হলেন ঈশা। ২০১৪ সালে এশিয়ার ১২ জন শক্তিশালী ভবিষ্যতের মহিলা ব্যবসায়িকদের তালিকায় তার নাম রাখা হয়েছিল। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ পদ রয়েছে। Jio এবং Reliance Retail-এর পরিচালনা পর্ষদের মেম্বার তিনি।
৫. আকাশ আম্বানি (Akash Ambani) : মুকেশ এবং নীতা আম্বানির বড় ছেলে আকাশ জিও বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন ২০২২ সালে। ২০১৫ সালে তিনি তার বোন ইশা আম্বানির সঙ্গে জিও ফোরজি পরিষেবা শুরু করেন। ২০২০ সালে তিনি সফল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে Fortune ‘40 Under 40’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।