বাঙালি মানেই জিনিয়াস! অ্যাপ বানিয়ে, বই লিখে ১১ বছরেই বিশ্বকে তাক লাগাল খুদে

বাংলায় সত্যিই প্রতিভার কোনও অভাব নেই। যে কোনও ফিল্ডেই আজ নিজের প্রতিভা তুলে ধরছেন বাঙালিরা। আট থেকে আশি, বাঙালি মানেই জিনিয়াস। তাই তো বাংলার এক খুদে মাত্র ৮ বছর বয়সেই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে! ১১ বছরে বই লিখে সারা দুনিয়া তোলপাড় করে ফেলতে পারে! বাংলার যে জিনিয়াসকে নিয়ে কথা হচ্ছে তাকে আজ আলিপুরদুয়ারের বিস্ময় বালক বলে চিনছে গোটা দুনিয়া। আলিপুরদুয়ারের অনুব্রত সরকার নামের ওই বালক মাত্র ৮ বছর বয়সেই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে শেখে। ১১ বছর বয়সেই সে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের উপর বিশদে একটি বই লিখে ফেলেছে! আন্তর্জাতিক বাজারে যার চাহিদা তুঙ্গে।

১০৬ পাতার এই বইতে ফায়ারবেস, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, জাভাস্ক্রিপ্টের মতো একাধিক জটিল বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে। যা কার্যত অনেক বড়দেরও ঘাম ছুটিয়ে দেয়। অনুব্রত মাত্র একদিনের মধ্যেই ১০৬ পাতার বইটি লিখে ফেলেছে। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর উপর এই বইয়ের নাম সে দিয়েছে ‘কোড ওয়ার্ল্ড’। দেশ-বিদেশের সাড়া ফেলে দিয়েছে অনুব্রতর লেখা বই। বইটি আমাজনকেও পাঠানো হয়েছিল। মাত্র ১৬ ঘন্টার মধ্যেই বইটিকে স্বীকৃতি দিয়ে দেয়‌ আমাজন। আজ মার্কিন প্রদেশ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড সহ বিশ্বের অন্ততপক্ষে ১২টি দেশে এই বই বিক্রি হচ্ছে।

বিদেশের বাজারে অনুব্রতর লেখা বইয়ের চাহিদা তুঙ্গে। অনুব্রতের বাবা এবং মা দুজনেই শিক্ষকতা করেন। তার বাবা কৌশিক সরকার আলিপুরদুয়ারের জিৎপুর হাইস্কুলের শিক্ষক। অপরপক্ষে তার মা শান্তা ভট্টাচার্য নিউটাউন বালিকা শিক্ষা মন্দির স্কুলের শিক্ষিকা। এত ছোট বয়সে ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা-মা। অনুব্রতর বাবা কৌশিক সরকার আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া জিৎপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। মা শান্তা ভট্টাচার্য নিউ টাউন বালিকা শিক্ষা মন্দির স্কুলের শিক্ষিকা। কৌশিকবাবু বলেন, ছোটবেলা থেকে অঙ্ক ও কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ অনুব্রতর। মাত্র আট বছর বয়সেই ছেলে প্রথম একটি অ্যাপ তৈরি করেছিল।

সেই থেকে শুরু। তারপর একে একে আরও ছ’টি অ্যাপ বানিয়ে ফেলেছে সে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রতর কম্পিউটারে হাতেখড়ি পাঁচ বছর বয়সে। তৃতীয় শ্রেণী থেকেই সে রিজওনিং, কোডিং ও ডিকোডিং চর্চা করে। ইতিমধ্যেই দেশের সবক’টি অলিম্পিয়াডে এই খুদে অংশ নিয়েছে। সিলভার জোন অলিম্পিয়াডে ট্যালেন্ট হান্টে র্যা ঙ্কিং করে সোনার পদকও ছিনিয়ে এনেছে অনুব্রত। যেখানে বিশ্বের তাবড় তাবড় খুদে প্রতিযোগীদের সঙ্গে তার মেধাগত তীব্র লড়াই ছিল।

অনুব্রতর তৈরি অ্যাপের তালিকায় আছে—লুডোশিপ, কিউআর কোড স্ক্যানার, মিট অ্যাপ, পিঞ্চ হিটার ব্যাটসম্যান, ব্রিক ও মিটার ও লিজেন্ডারি রানার্স। এরমধ্যে মিট অ্যাপটি একটি মেসেজিং অ্যাপ। যেটি আক্ষরিক অর্থে একটি চ্যাটিং সফটওয়্যার। অনুব্রতর বাবা ও মা বলেন, ‘আমরাও মাঝে মাঝে ছেলের কাণ্ডকারখানা দেখে অবাক হয়ে যাই!’ বড় হয়ে কী হতে চায় অনুব্রত? শহরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের এই পড়ুয়ার আগ্রহ রোবটিক্সে। তা নিয়েই পড়াশুনা করতে চায় সে। ইতিমধ্যেই শহর জুড়ে অনুব্রতকে ‘বিস্ময় বালক’ বলা শুরু হয়েছে।