জি বাংলার সিরিয়াল নিয়ে ঘোরতর আপত্তি দর্শকদের, অবশেষে বদলেই দেওয়া হল সিরিয়ালের নাম

মাত্র দু সপ্তাহ আগেই জি বাংলাতে (Zee Bangla) শুরু হয়েছে একটি নতুন সিরিয়াল যার নাম সোহাগ জল (Sohag Jol)। হানি বাফনা এবং শ্বেতা ভট্টাচার্যকে জুটি হিসেবে নিয়ে জি বাংলাতে একটি ভিন্ন স্বাদের সিরিয়ালের সম্প্রচার হচ্ছে। অন্তত প্রোমো দেখে দর্শকরা বেশ খুশি হয়েছিলেন। কারণ আর পাঁচটা সিরিয়ালের মত প্রথমে বিয়ে তারপর বিচ্ছেদ ‌নয়, শুরুতেই বিচ্ছেদের আভাস দিয়ে শুরু হয়েছে এই গল্প।

প্রোমোতে দেখানো হয়েছিল একটি যৌথ পরিবারের বৌমা জুঁই তার শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের প্রতি ভীষণ কর্তব্যনিষ্ঠ সে। সেখানে সকলেই তাকে ভালবাসেন। তবে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতে বিয়ের পরপরই তাকে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। জুঁই চলে যাওয়ার মুহূর্তে তাকে পিছু ডাকে স্বামী শুভ্র। দূরে গিয়েও কাছে আসার এই গল্প টেলিভিশনে সম্প্রচার শুরু হওয়ার আগে দর্শকরা বেশ আগ্রহীই ছিলেন।

কিন্তু সিরিয়ালের সম্প্রচার শুরু হতেই বদলে গেল গল্প। শুরুতেই এই সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে পরকীয়া। দেওর-বৌদির পরকীয়া দেখে দর্শকরা বেজায় চটেছেন। গল্পের নায়ক শুভ্রর বিধবা বৌদির নজর রয়েছে দেওরের উপর। সুযোগ পেলেই তিনি শুভ্রর ঘনিষ্ঠ হতে চান। এমনকি জুঁই এবং শুভ্রর বিয়ের পরও শুভ্রর পিছু ছাড়েনি তার বৌদি। গল্পে এমন বেশ কিছু দৃশ্য দেখানো হয়েছে যা দেখে চূড়ান্ত বিরক্ত বোধ করছেন দর্শকরা।

এসব দেখে দর্শকরা এরই মধ্যে ধারাবাহিকের নাম বদলে দিয়েছেন। সোহাগ জলের নতুন নাম তারা রেখেছেন ‘পরকীয়া জল’। লীনা গাঙ্গুলী সিরিয়ালের সঙ্গে তুলনা হচ্ছে সোহাগ জলের। কেউ কেউ বলছেন, শুধু লীনা গাঙ্গুলী তার সিরিয়ালে পরকীয়া দেখালেই দোষ! মোটকথা জি বাংলার এই নতুন সিরিয়ালে দেওর-বৌদির যে সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে তা মোটেই দেখতে চাইছেন না দর্শকরা।

ধারাবাহিকের গল্পের শুরুতেই শুভ্র এবং জুঁইয়ের বিয়ে দেখানো হয়। বিয়ে দিয়েই শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিকের গল্প। তবে জুঁই জানে না সম্পত্তির লোভে পড়ে তাকে বিয়ে করেছে শুভ্র। জুঁইয়ের দাদা এবং শুভ্রর মধ্যে একটা ব্যবসায়িক চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী জুঁইকে বিয়ে করলে তার নামে থাকা সম্পত্তি পাবে শুভ্র। বিয়েটাকে সে একটা ডিল হিসেবেই নিয়েছে।

sohag jol zee bangla

এদিকে বোনকে বিয়ে দিয়েই ভগ্নিপতির কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে জুঁইয়ের দাদা। এই জালিয়াতির কথা জানতে পেরে শুভ্রর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়েছে জুঁইয়ের উপরে। সে তাকে অবিরাম ঠগ, জোচ্চর, চোর অপবাদ দিয়ে চলেছে। জুঁই কোনওভাবেই শুভ্রকে বিশ্বাস করাতে পারছে না সে এই ডিলের ব্যাপারে কিছুই জানত না। সে প্রতিজ্ঞা করে দাদাকে খুঁজে বার করে শুভ্রর পাঁচ কোটি টাকা তাকে ফিরিয়ে দেবে।