হার্দিক পান্ডিয়া এবং নাতাশা স্টানকোভিচের পর এখন যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ধনশ্রী বর্মার ডিভোর্স নিয়ে চর্চা রয়েছে তুঙ্গে। সদ্য দুজনের ডিভোর্স হয়েছে। আদালত থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার অনুমতিও পেয়েছেন তারা। দুজনের সংসার ভাঙার নেপথ্যে কারণ নিয়ে বহু তথ্য সামনে এসেছে। কেউ দিয়েছেন ধনশ্রীকে দোষ, কারও মতে আসল দোষী যুজবেন্দ্র। অবশেষে জানা গেল এসব কিছুই না। খুবই ছোট্ট একটি কারণে সংসার ভাঙলো এই ভারতীয় ক্রিকেটারের।
ধনশ্রী বর্মা এবং যুজবেন্দ্র চাহালের ডিভোর্সের কারণ কী?
২০২০ সালে বিয়ে, দেড় বছরের মাথায় সেপারেশন। যেদিন থেকে ধনশ্রী এবং যুজবেন্দ্রের ডিভোর্সের প্রসঙ্গ উঠেছে সেদিন থেকে কখনও শোনা গিয়েছে তারকা ক্রিকেটারের নাকি অন্য প্রেমিকা আছে। যুজবেন্দ্রের পরকীয়ার কারণেই ঘটছে এই ডিভোর্স। আবার কেউ কেউ দায়ী করেছেন ধনশ্রী। ধনশ্রী নাকি গোল্ড ডিগার, তিনি টাকার লোভে বিয়ে করেছিলেন যুজবেন্দ্রকে। আবার কখনও শোনা যাচ্ছিল শ্বশুরবাড়িতে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না ধনশ্রী। কিন্তু আসল ঘটনা ছিল অন্য।
কেন সংসার ভাঙলো যুজবেন্দ্র ও ধনশ্রীর?
বিয়ের পর যুজবেন্দ্র ও ধনশ্রী হরিয়ানাতে থাকতে শুরু করেন। তবে কিছুদিন পর ধনশ্রী মুম্বাইতে চলে আসতে চান। কিন্তু যুজবেন্দ্র তাতে রাজি হচ্ছিলেন না। তিনি চেয়েছিলেন তার স্ত্রী হরিয়ানায় তার বাবা-মার সঙ্গেই থাকুন। এই মুম্বাই এবং হরিয়ানা নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। ধনশ্রী কিছুতেই মুম্বাইতে থেকে যেতে চাইছিলেন না। যুজবেন্দ্র শেষ পর্যন্ত তার সিদ্ধান্তেই অনড় রইলেন। যার ফলে বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে যেতে চাইলেন ধনশ্রী।
আরও পড়ুন : বিয়ের ৩৭ বছর পর ডিভোর্স! সংসার ভাঙলো বলিউডের এই সুপারস্টারের
আরও পড়ুন : ধনশ্রী অতীত! কার সঙ্গে প্রেম করছেন যুযুবেন্দ্র চাহাল?
ডিভোর্সের জন্য ধনশ্রীকে কত টাকার খোরপোষ দিলেন যুজবেন্দ্র?
প্রথমে শোনা যাচ্ছিল ধনশ্রী নাকি ডিভোর্সের জন্য কাছে ৭০ কোটি টাকা চেয়েছেন যুজবেন্দ্রর থেকে। আবার কেউ কেউ বলছিলেন স্বামীর অর্ধেক সম্পত্তি তিনি দাবি করেছেন। যদিও পরবর্তীতে যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তাতে জানা গেল যুজবেন্দ্রকে দিতে হবে ৪.৭৫ কোটি টাকা। ডিভোর্সের আগে তিনি ২.৩৭ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। ডিভোর্সের পর দেবেন ২.৩৮ কোটি টাকা।