ভোটে দাঁড়িয়েছেন রচনা ব্যানার্জী (Rachna Banerjee)। আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল শাসক দলের হয়ে হুগলি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ভোট প্রচার পর্ব চালাচ্ছেন জোরকদমে। ভোটের মুখে সরগরম সন্দেশখালি। সেই সন্দেশখালি প্রসঙ্গেই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে কার্যত আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছেন রচনা। তার পরিপ্রেক্ষিতে এবার রচনাকেই ধুয়ে দিলেন সন্দেশখালির মহিলারা।
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে কী বলেছেন রচনা ব্যানার্জী?
ভোটে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য শাসক দলের হয়ে ব্যাটিং করতে শুরু করে দিয়েছেন রচনা। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তাকে সাফাই দিতে শোনা গেল সংবাদমাধ্যমের সামনেও। রচনা বলেন, “দাঁড়ান আগে সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলি। কী করে বুঝছেন যারা নিজেদের নির্যাতিত বলছে তারা সত্যিই নির্যাতিত? সবাই তো এমন কথা বলছেন না।” স্বাভাবিকভাবেই রচনার মন্তব্যে ফুঁসে উঠেছেন সন্দেশখালির মহিলারা।
রচনা ব্যানার্জীকে জবাব দিলেন সন্দেশখালির মহিলারা
সংবাদমাধ্যমের সামনে সন্দেশখালীর এক মহিলা গর্জে উঠে বলেন, “রচনা বলেছে সব ভুল! কিন্তু আমরা তো সিনেমার জগতে নামতে পারিনি। ওনাকে একসময় ভালই লাগতো। উনার অভিনয় ভাল লাগতো। কিন্তু এরকম অভিনয়! যে দুর্নীতির অভিনয় করছেন দিদির সঙ্গে মিশে!” বোঝাই যাচ্ছে শাসক দলের হয়ে রচনার পিঠ বাঁচানো মন্তব্যে একেবারেই খুশি নয় সন্দেশখালি।
গ্রামের ওই মহিলা রীতিমত ফুঁসে উঠে আরও বলেছেন, “ওনার কে স্বামী তাই প্রকৃত জানা যায় না। সিনেমা জগতে ওদের অনেকবার বিয়ে-শাদী হয়। ওনার কোনও মান-সম্মান নেই। ছোট জামা-কাপড় পরে সিনেমা করেন। ওনার মান-সম্মান নেই বলে কি গ্রামের মা-বোনেদের মান-সম্মান নেই? এই নিয়ে খেলা করছেন? দিদি তো গদি ছেড়ে আসতে পারল না। রচনা অন্তত একবার এসে দেখে যান সন্দেশখালিতে।”
রচনা ব্যানার্জীর উপর ক্ষুব্ধ সোশ্যাল মিডিয়া
শুধু একা সন্দেশখালি নয়। সোশ্যাল মিডিয়াও রচনার মন্তব্যে ফুঁসছে। তার শো দিদি নাম্বার ওয়ান মহিলাদের কথা বলে। নির্যাতিত নিপীড়িত মহিলাদের কথা তুলে ধরে। অথচ রাজ্যে যেখানে একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে মহিলারা তাদের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের কথা বলছেন সেখানে রচনা সাফাই দিচ্ছেন! সোশ্যাল মিডিয়াতে এই মর্মে তাই জোরদার সমালোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ডিভোর্স হয়নি, তবুও কেন স্বামীর সঙ্গে থাকেন না রচনা ব্যানার্জী?
আরও পড়ুন : রচনা ব্যানার্জীর ‘প্রাক্তন স্বামী’ কারা? কেন ভেঙেছিল রচনার ২ বিয়ে?
পুরুষ অধিকার কর্মী নন্দিনী ভট্টাচার্যও ধুয়ে দিয়েছেন রচনাকে। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা প্রমাণ করল মানুষ হিসেবে তিনি আসলে কেমন। উনি মোটেই মহিলাদের দুঃখে কাতর নন। এতদিন পয়সা পেয়েছেন বলে সেটে দাঁড়িয়ে ওসব বলেছেন। আর আজ সিট পেয়েছেন বলে তৃণমূলের হয়ে কথা বলছেন। দলের প্রতি দায়। এমপি সিটের দায়। এরা যথার্থই সুবিধাবাদী।’’