দ্বিতীয় বিয়েও টিকলো না! কেন ডিভোর্স হল ‘স্বতন্ত্র’ সুদীপ এবং পৃথার?

বিনোদন দুনিয়াতে তারকাদের সংসার টিকে থাকাটাই যেন একটা বড় চ্যালেঞ্জের এখন। প্রায় দিনই কোনও না কোনও তারকার ডিভোর্সের খবর আসছে। এবার যেমন সংসার ভাঙার খবরে সিলমোহর দিয়েই দিলেন অভিনেতা সুদীপ মুখার্জী। দ্বিতীয় স্ত্রী পৃথা চক্রবর্তীর সঙ্গে তার সম্পর্ক পৌঁছেছে তলানিতে। তারা আলাদা হয়েছেন। কিন্তু কেন এই বিচ্ছেদ? এই খবর আসার আগে পর্যন্ত টলিউডের নজরে তারা ছিলেন পাওয়ার কাপল। হঠাৎ কী এমন ঘটল যে এত বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তারা?

সব জল্পনার সূত্রপাত হয় সুদীপের স্ত্রীর পৃথার কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে একের পর এক ইঙ্গিত পূর্ণ পোস্ট করছিলেন তিনি। কখনও খোলাখুলি লিখেছেন তাদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। আবার কখনও মহিলাদের উদ্দেশ্যে পরকীয়া নিয়ে ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করেছেন। এই নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছিল তখন অবশ্য সুদীপ মুখার্জী প্রথম প্রথম পুরোটাই জল্পনা বলে উড়িয়েছেন। কিন্তু তা সত্বেও থেমে থাকেননি পৃথা।

Why Sudip Mukherjee And Preetha Chakraborty Are Getting Divorced

গত শনিবার পৃথা ডিভোর্সের খবর জানিয়ে পোস্ট করলে রবিবার সুদীপ জানান পুরোটাই নাকি প্রাঙ্ক করেছিলেন পৃথা। এরপর পৃথাও সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন। তারপর তিনি আরেকটি পোস্টে লিখেন, “ডিয়ার ওমেন, পুরুষের জীবনে কোন নতুন মহিলাই নতুন ছিলেন না। আপনাদের হয়তো সে কথা জানা নেই।” এই পোস্ট দেখে অনেকেই মনে করছেন হয়তো বা পরকীয়ার কারণেই ভাঙতে বসেছে পৃথা এবং সুদীপের বিয়ে। আবার কখনও তিনি লিখেছেন, “:যেটা দেখা যায় সেটা আদতে ঘটে না, আর যেটা ঘটে সেটা দেখা যায় না।”

আরও পড়ুন : বিয়ের ৩৭ বছর পর ডিভোর্স! সংসার ভাঙলো বলিউডের এই সুপারস্টারের

আরও পড়ুন : ডিভোর্সের পর স্বামীকে মোটা টাকার খোরপোষ দিয়েছেন এই অভিনেত্রীরা

কখনো আবার আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “কখনো কখনো আপনাকেও সরি বলা বন্ধ করতে হবে এবং হ্যাঁ বলতে শুরু করতে হবে। আমি তাই করেছি। তাই নয় কি?” আবার কখনো পুরুষতান্ত্রিকতার প্রতি কটাক্ষ ছুঁড়ে তিনি লিখেছেন, “যখন মহিলারা এটা করে তখন ক্রমাগত প্রশ্ন তোলা হয়। তবে যখন পুরুষ এটা করে তখন কিন্তু প্রশ্ন ওঠে না। এটাই আমাদের সমাজ, আর সমাজের নৈতিকতা।” অবশেষে সুদীপও সত্যিটা জানিয়ে দিলেন। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন তিনি আর পৃথা আলাদা হয়েছেন। তবে তিনি তাদের এই একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় গোপন রাখতেই চেয়েছিলেন। পৃথা তার সন্তানদের মা। তিনি চান না কেউ তাকে ট্রোল করুন। একে অপরের প্রতি সম্মান বজায় রেখেই তারা চলছেন।