Why Suchitra Sen Stepped Away From Limelight : টলিউডের স্বর্ণযুগের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের নাম। বাংলার প্রথম সুপারস্টার বলা যেতে পারে তাদের। তাদের জুটির জনপ্রিয়তা আজ এত দশক পরেও অটুট রয়েছে। কিন্তু বাঙালি বড় অকালেই হারিয়ে ফেলেছিল এই জুটিকে। উত্তম কুমার অকালে প্রয়াত হন। সুচিত্রা সেনও তার কিছু পরেই নিজেকে গুটিয়ে অন্তরালে চলে যান।
সুচিত্রা সেন কেন রাতারাতি তার জীবনে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিলেন সেই নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে তার ভক্তদের মনে। সুচিত্রা যখন অভিনয় ছাড়ার কথা ভাবেন তখন তার কেরিয়ার ছিল মধ্যগগনে। কেউ কেউ মনে করেন সুচিত্রা নাকি উত্তম কুমারের প্রয়াণ মেনে নিতে পারেননি। তাদের জুটিকে অমর করার জন্যই তিনি অন্তরালে চলে যান।
উত্তম-সুচিত্রার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে অনেক জল্পনা রয়েছে। তারা একে অপরের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। তাদের নিয়ে গসিপে অবশ্য এও শোনা যেত তাদের মধ্যে সম্পর্কটা নাকি খুবই গভীর। একে অপরের প্রেমেও পড়েছিলেন দুজনে। উত্তম কুমার নিজেই নাকি সুচিত্রাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তবে এইসব গুঞ্জনে কখনও সীলমোহর দেননি উত্তম-সুচিত্রা। সুচিত্রা সেন কেন অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সেই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন তার কন্যা মুনমুন সেন (Moon Moon Sen)। মুনমুন বলেন সুচিত্রার হঠাৎ অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কারণ ছিল চিত্রনাট্য। ১৯৭০ এর দশকে বাংলা ছবির ধরন বদলাতে শুরু করে। অন্যদিকে আবার সুচিত্রা যে পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন তারাও একে একে প্রয়াত হন।
আরও পড়ুন : ক্যামেরার সামনে পোশাক খুলেও চূড়ান্ত ফ্লপ, সুচিত্রা সেনের মেয়ে হয়েও কেন হারিয়ে গেলেন মুনমুন
আরও পড়ুন : এই একটিই কারণে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কখনও কাজ করেননি সুচিত্রা সেন
তখনকার সময়ের নতুন ধরনের চিত্রনাট্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না সুচিত্রা। সুচিত্রার মনে প্রশ্ন উঠতো তিনি এখন কার সঙ্গে অভিনয় করবেন? ওই মুহূর্তে উত্তম কুমারেরও মৃত্যু হয়। অভিনেত্রী এরপর পাকাপাকিভাবে অভিনয় ছেড়ে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওই একই সময়ে বলিউডেও তিনি পা রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বয়সের কারণে সেখানেও ব্যর্থ হন। এরপরই মানসিক শান্তির খোঁজে তিনি বেলুড়মঠে হাজির হতেন। সেখানে ভারত মহারাজ সুচিত্রাকে বলেন, “মা অর্থলিপ্সু, লোভী হয়ো না”। এই কথায় সুচিত্রার মনে অনেক বড় প্রভাব পড়ে। তিনি এরপর নাম-যশ খ্যাতির পেছনে ছোটা বন্ধ করে দেন। একদম সাধারণভাবে এরপর মেয়ে ও নাতনিদের সঙ্গেই বাকি জীবনটা অতিবাহিত করেন বাঙালির মহানায়িকা।