চাইলেই মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন, কেন সুযোগ পেয়েও সিংহাসন ছাড়লেন সোনু সুদ?

মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েও কেন ছেড়ে দিলেন সোনু সুদ (Sonu Sood)? সিংহাসনের লোভ কেন ছেড়ে দেন তিনি? এই প্রশ্নের জবাবে অভিনেতা যা বলেছেন জানলে তাকে স্যালুট জানাবেন আপনিও। সেই করোনার সময় হাজার হাজার গরিব মানুষের সাহায্য করে রাতারাতি সকলের মন জয় করে নেন সোনু। সাধারণ মানুষ ভালোবেসে তাকে নাম দেন মসিহা।

সিনেমার পর্দার বাইরে বেরিয়ে তিনি বাস্তবে সকলের কাছে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন। তার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি জেরে স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে আসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব। মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যসভার সদস্য পদ, এসবের বদলে নানাভাবে তার মন পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। কিন্তু এত ভালো ভালো প্রস্তাব সত্ত্বেও প্রস্তাব সবাইকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সোনু।

Sonu Sood

এই সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন দেশের অনেক বড় বড় নেতা তাকে রাজ্যসভার সদস্য পদ দিতে চেয়েছিলেন। তাকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে তার কাছে আসে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব। কিন্তু সোনুর মতে কোনও কিছু পাওয়ার লোভে তিনি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াননি কখনও। তিনি মনে করেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়া মানে তার স্বাধীনতা খর্ব হয়ে যাওয়া। যেটা তিনি একদমই হতে দিতে চাননি।

সোনু মনে করেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়া পেছনে প্রত্যেকটা মানুষের দুটো কারণ থাকে। একটি হল টাকা উপার্জন, দ্বিতীয়টি ক্ষমতা অর্জন। সোনু এর মধ্যে কোনওটাই করতে চান না। যদি মানুষকে সাহায্য করার জন্য রাজনীতি হত, তাহলে তিনি অনেক আগেই এতে যোগ দিতেন বলে জানিয়েছেন অভিনেতা।

আরও পড়ুন : থালাপতি বিজয়কে কেন দক্ষিণ ভারতের ডেমি-গড বলা হয়?

Sonu Sood

আরও পড়ুন : ২০২৪ সালের সেরা ১০ টি বাংলা সিনেমা, যেগুলো দর্শকদের বিচারে সেরা

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সোনুর বোন মালভিকা সুদ কংগ্রেস দলে যোগদান করেন। পাঞ্জাবের মোগা আসন থেকে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আম আদমি পার্টির আমনদীপ কৌর অরোরার কাছে তিনি হেরে যান। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সোনু বিজেপিতে যোগদান করবেন বলে ব্যাপক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সেটাও মিথ্যে প্রমাণ হয়। বর্তমান যুগে যেভাবে তারকাদের মধ্যে রাজনীতিতে যোগদান করার হিড়িক বাড়ছে, সেখানে ব্যতিক্রম সোনু।