এই একটি কারণে রাজেশ খান্নার সঙ্গে আর কখনও অভিনয় করতে রাজি হননি শর্মিলা ঠাকুর

বলিউডের ৭০-এর দশকের হিট জুটিগুলির মধ্যে অন্যতম হল রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna)শর্মিলা ঠাকুরের (Sharmila Tagore) জনপ্রিয় জুটি। রাজেশ খান্না একটি ট্যালেন্ট হান্ট শো জিতে বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন। বলিউডে পা রেখেই ‘কাটি পতং’, ‘সফর’ এবং ‘দাগ’-এর মতো হিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন তিনি।

অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে তিঁনি জুটি বেঁধেছেন কিন্তু শর্মিলা ঠাকুর ও তাঁর সকলের প্রিয় ছিল। ‘আরাধনা’, ‘অমর প্রেম’ এবং ‘সফর’-এর মতো ছবিতে তাদের জুটি দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সুপারহিট জুটি হওয়া সত্ত্বেও রাজেশ খান্নার বিপরীতে অভিনয় করা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।

SHARMILA AND RAJESH

যদিও একটি সাক্ষাৎকারে রাজেশ খান্নার সঙ্গে কাজ করার কারণও শর্মিলা ঠাকুর জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কাকা (রাজেশ খান্না) সম্পর্কে যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছিল তা হল সেটে তার দেরিতে আসা। তার ৯ টার শিফটের জন্য ১২ টার আগে পৌঁছায়নি, তাই আমি অন্য অভিনেতাদের সাথে কাজ করার কথা ভেবে ছিলাম যদিও আমি জানতাম যে আমাদের জুটি সফল হয়েছে।”

অভিনেত্রী আরও জানিয়েছিলেন, “রাজেশ খান্নার স্টারডম এমন ছিল যে ৯ থেকে ৯০ বছর বয়সী মহিলারা তাকে দেখতে স্টুডিওর বাইরে লাইনে দাঁড়াতেন।” কিন্তু কেরিয়ারে সাফল্য আসলেও ব্যক্তিগত জীবনে কখনও সুখ আসেনি রাজেশ খান্নার।

SHARMILA AND RAJESH

জীবনের বেশিরভাগ সময় একাই থাকতে হয়েছে তাকে। যদিও ১৯৭৩ সালে কেরিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি ৯ বছরের মধ্যেই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয় যায়।

SHARMILA AND RAJESH

১৯৮২ সালে তারা আলাদা হয়ে যায়। আসলে ডিম্পলকে বিয়ের আগে রাজেশ খান্না বলে দিয়েছিলেন ডিম্পল যাতে বিয়ে পর আর অভিনয় না করে। কিন্তু প্রথম এই কথায় রাজি হলেও পরে আবার অভিনয় করার ইচ্ছা জাগে ডিম্পলের। তাই তাদের মধ্যে ঝামেলা হয় ও পরে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তারা। তাদের কন্যা সন্তান ছিলেন যারা হলেন টুইঙ্কেল খান্না এবং রিঙ্ক খান্না। তারপর ২০১২ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয় মৃত্যু হয় রাজেশ খান্নার।