বিগত কয়েক দশক ধরে টলিউডকে (Tollywood) যিনি উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা, তিনি হলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। কাজের পাশাপাশি নিজের সংসার সামলাচ্ছেন সমান তালে। কিন্তু বিয়ের এতগুলি বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কেন স্বামীর পদবী ব্যবহার করেন না তিনি? কী কারন রয়েছে এর নেপথ্যে?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের স্বামী কে?
১৯৯৯ সালে মুন্সীগঞ্জে সঞ্জয় চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন তিনি। সঞ্জয় একজন সফল ব্যবসায়ী। সঞ্জয় কাজের সূত্রে থাকেন সিঙ্গাপুরে, এদিকে অভিনেত্রীর কাজ মূলত কলকাতায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রায়শই সিঙ্গাপুর যাতায়াত করতে হয় অভিনেত্রীকে। স্বামীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা থাকলেও স্বামীর পদবী গ্রহণ করতে রাজি নন তিনি।
কেন স্বামীর পদবী ব্যবহার করেন না ঋতুপর্ণা?
একটি সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেছিলেন, “আমি চিরকালই সেনগুপ্ত ছিলাম। সেনগুপ্তই থাকবো। এটা আমার জন্মের সময়ের পদবী। কিছু কিছু সরকারি নথিতে যদিও চক্রবর্তী পদবী ব্যবহার করা রয়েছে, কিন্তু সিনেমায় আমার পরিচয় এই সেনগুপ্ত পদবী। তাই এই পদবীকে আলাদা করতে পারবো না কিছুতেই।”
সম্প্রতি হইচইতে ‘কুলের আচার’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে এই পদবী পাল্টানোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল। বিয়ের পর স্ত্রীর পদবী পাল্টে ফেলার বিষয়টি আদতে খুব সামান্য মনে হলেও একটি মেয়ের কাছে কিন্তু বিষয়টি একেবারেই সামান্য নয়। আগেকার যুগে মেয়েরা এই বিষয়টি নিয়ে বেশি মাথা ব্যথা না করলেও এখন বাবার পদবী পাল্টাতে চান না অনেকেই।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সঞ্জয় চক্রবর্তী
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের পিতার পদবী ধরে রাখার সিদ্ধান্ত এক প্রকার বহু মেয়ের কাছে অনুপ্রেরণা। যদিও শুধু ঋতুপর্ণা নন, অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যারা নিজের পদবী পাল্টাননি। এই মুহূর্তে সরকারও বেশ কিছু নিয়ম এনেছেন, যাতে মেয়েরা স্বচ্ছন্দে নিজের বাবার পদবী ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন : রোমান্টিক দৃশ্যে হারিয়ে ফেলেন সংযম! প্রসেনজিতের পায়ের কাছে বসে এই কাজ করেছিলেন ঋতুপর্ণা
আরও পড়ুন : ‘‘ইন্ডাস্ট্রির একমাত্র সুপারস্টার!’’ ঋতুপর্ণাকে ঠেস মেরে কথা শোনালেন চিরঞ্জিত
প্রসঙ্গত, পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’ সিনেমায় খুব শীঘ্রই দেখা যাবে ঋতুপর্ণাকে। এই সিনেমায় ঋতুপর্ণার সঙ্গে অভিনয় করবেন শর্মিলা ঠাকুর। এছাড়াও ‘অযোগ্য’ নামক একটি সিনেমার শুটিংও সেরে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত এই সিনেমাটি হবে প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণা জুটির ৫০ তম ছবি।