বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One) রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee) -র জনপ্রিয়তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক আগেই বিদেশে ছড়িয়েছে। টলিউড (Tollywood) -র এই নায়িকা বিগত ১০ বছর ধরে দাপটের সঙ্গে জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ানের রাশ সামলাচ্ছেন। সেই সঙ্গে একাই নিজের সংসারের দেখভাল করেন তিনি। একা মা হিসেবে নিজের একমাত্র ছেলেকে মানুষ করছেন রচনা। তার জন্য কিছু কম স্ট্রাগল করতে হয়নি তাকে।
ব্যস্ততম শুটিং শিডিউল সামলেও রচনা সব সময় তার ছেলেকেই আগে প্রায়োরিটি দিয়েছেন। ছেলে প্রণীল বসু (Pronil Basu) রচনার একমাত্র অবলম্বন। ছোট থেকেই ছেলেকে কড়া নজরে রেখেছেন তিনি। এমনকি কড়া মা হিসেবে টলিউডের অন্দরেও তার ইমেজ রয়েছে। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের একটি এপিসোডে আবারও তা প্রমাণ হয়ে গেল।
সাধারণ মানুষের ধারণা থাকে তারকারা তাদের সন্তানকে খুবই আদরে মানুষ করেন। তারা যা চায়, তাই পায়। বাবা-মায়ের বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় বেশ ঠাটেবাটে মানুষ হয় তারকা সন্তানরা। কিন্তু রচনার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একদমই সেরকম নয়। দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এর আগেও তিনি তার ছেলেকে নিয়ে কথা বলেছেন। তার কথায় উঠে এসেছে কীভাবে ছেলেকে সামলাতে তাকে হিমশিম খেতে হয়।
দিদি নাম্বার ওয়ানের সাম্প্রতিক এপিসোডে সুদীপা চ্যাটার্জী প্যারেন্টিং নিয়ে কিছু অজানা তথ্য ফাঁস করেন। সুদীপা জানিয়েছেন, “আমার আর রচনাদির মেকআপের ঘর পাশাপাশি ছিল। দিদির সেই ঘরে একটা বোরখা টাঙ্গানো থাকত। একদিন আগ্রহের বশে একজনকে জিজ্ঞেস করি এখানে এই বোরখাটা ঝুলছে কেন? তখন জানতে পারি রৌনককে পড়ানোর জন্য, ওকে বেশি সময় দেওয়ার জন্য বিশেষ পন্থা বার করেছে দিদি।”
রচনা আসলে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর জন্য বোরখা পরে মেট্রো করে কালীঘাট স্টেশনে আসতেন। মেট্রো স্টেশনে তার জন্য গাড়ি দাঁড় করানো থাকত। তিনি সেই গাড়িতে চেপে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছতেন ছেলেকে পড়তে বসানোর জন্য। শুটিং শেষ করার পর যাতে এক মুহূর্ত অতিরিক্ত দেরি না হয় তার জন্য এই উপায় বের করেছিলেন রচনা। এভাবে দীর্ঘদিন তিনি সাধারণ মানুষের ভিড়ে বোরখার আড়ালে লুকিয়ে যাতায়াত করেছেন।
আরও পড়ুন : দিন দিন উচ্ছন্নে যাচ্ছে ছেলে! একমাত্র ছেলের চিন্তায় ঘুম উড়েছে রচনা ব্যানার্জীর
সুদীপার কথা শুনে নস্টালজিক হয়ে পড়েন রচনা। তার চোখ ছলছল করে ওঠে। সুদীপা রচনার কাছে আশীর্বাদ হিসেবে তার মাতৃত্বের ৫০ শতাংশ চেয়ে নিয়েছেন। যাতে তিনি তার একমাত্র সন্তান আদিদেবকে সেইভাবে মানুষ করতে পারেন। রচনার ছেলে এখন কৈশোরের গণ্ডি পেরিয়ে যৌবনের পথে পা বাড়িয়েছে। এখন মা হিসেবে তার স্ট্রাগলটা আরও বেড়েছে, এমনটাই মনে করেন রচনা।
আরও পড়ুন : ৩০ বছরের কেরিয়ারে এই প্রথম, বিরাট নজির গড়ে ফেললেন রচনা ব্যানার্জী