টলিউড থেকে বলিউড, মিঠুন চক্রবর্তীর দাদাগিরি চলে সর্বত্র। মুম্বাইতে গিয়ে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন তিনি। গোটা দেশ তার নাচ এবং অভিনয়ে মুগ্ধ। তার মতো সুপারস্টার এই বাংলাতেই জন্মেছেন, এখানেই বড় হয়েছেন, এমনকি টলিউড সিনেমাতেও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তাও কেন মিঠুন চক্রবর্তীর বাংলাতে কোনও বাড়ি নেই? নিজের জন্মভূমিতেই কেন পরবাসী হয়ে আছেন তিনি? কেন আজ পর্যন্ত বাংলাতে কোনও বাড়ি তৈরি করতে পারেননি মিঠুন চক্রবর্তী?
মিঠুন চক্রবর্তীর সম্পত্তি কত?
টলিউড তথা বলিউডের এই সুপারস্টারের কাছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি আছে। এর মধ্যে গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার বেশ কিছু বিলাস বহুল বাড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যেমন উটিতে তার একটি বাড়ি আছে। মুম্বাইতে রয়েছে বিশাল একটি ফার্ম হাউস। দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তার ৩৫ টি বাংলো রয়েছে। অথচ বাংলাতেই তার নেই কোনও নিজস্ব বাড়ি। কেন জানেন?
কেন বাংলাতে নিজস্ব বাড়ি নেই মিঠুন চক্রবর্তীর?
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মিঠুন চক্রবর্তী এই রহস্যের খোলাসা করেছেন। তার দাবি, একবার নয় তিনি ২ বার চেষ্টা করেছিলেন এখানে বাড়ি বানানোর। কিন্তু দুবারই তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। প্রথমবার যখন তিনি পশ্চিমবঙ্গে বাড়ি বানানোর চেষ্টা করেন তখন তার সঙ্গে ৮ লক্ষ টাকার প্রতারণা করে কিছু মানুষ। সেই মামলা এখনও চলছে। এখনও তিনি প্রতারকদের থেকে ৫-৬ লক্ষ টাকা ফেরত পাবেন।
আরও পড়ুন : মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করেছিলেন মিঠুন! মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ প্রথম স্ত্রীর
আরও পড়ুন : প্রেমে ঠকিয়েছিলেন মিঠুন, ব্রেকআপের পর কী অবস্থা হয়েছিল শ্রীদেবীর?
আরও একবার টাকা-পয়সা দিয়েও বাড়ি তৈরি করতে পারেননি তিনি। সেবার তিনি একটি জমি কিনেছিলেন। তারপর যখন সেই জমিতে বাড়ি তৈরি করতে যাবেন, তার আগে বিডিওর কাছে জমির নথি দেখাতে গিয়েই তার মাথায় হাত পড়ে। বিডিও তাকে বলেন, “এটা কার সই?” মিঠুন জানান এটা মালিকের সই। তখন বিডিও তাকে বলেন, “ওকে নিয়ে আসুন জেলে পুরব। জালিয়াতি করেছে।” পরপর দুবার এমন ধাক্কা খেয়ে মিঠুনও হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি মনে করেন ভগবানই হয়তো চান না তিনি পশ্চিমবঙ্গে কিছু করুন। তাই যখনই তিনি কলকাতায় আসেন তখন হয় হোটেলে আর নয়তো বন্ধুদের বাড়িতে ওঠেন।