সিনেমা দুনিয়ার (Cinema World) মানুষদের নিয়ে বরাবরই যথেষ্ট কৌতুহল রয়েছে দর্শকদের। আবার সে যখন বলিউড তারকা হয় তখন তাকে নিয়ে উৎসাহ থাকাটাই স্বাভাবিক। বলিউডের রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor), সলমন খান (Salman Khan) হোক বা শাহরুখ খান (Sharukh Khan), আলিয়া ভট্ট (Alia Bhatt), দর্শকদের নজর রয়েছে এমন বহু তারকাদের উপর। তারকাদের এই তালিকায় নাম রয়েছে অভিনেত্রী দিয়া মির্জারও (Diya Mirza)।
২০০০ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে মিস এশিয়া প্যাসিফিকের মতো বড় খেতাব জিতেছিলেন তিনি। তারপরেই বলিউডের ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ আসে তার কাছে। বহু বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছিল তাকে। তাই কেরিয়ারের শুরুটা ভালোই হয়েছিল দিয়ার। আর মাধবন, বিবেক ওবেরয়, ইমরান হাশমির বিপরীতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
বহু জনপ্রিয় হিন্দি ছবিতে তার অভিনয় নিয়ে অনেক প্রশংসিত হয়েছিলেন। কিন্তু তার সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি হল ‘রেহেনা হ্যায় তেরে ডিল মে’। এই ছবিই বলিউডে তার পরিচয় তৈরি করতে সাহায্য করে ছিল। খুব সহজেই দর্শকদের মনে নিজের ছাপ ফেলেছিলেন দিয়া। বলিউডের অন্য তারকাদের মতো তার জীবন নিয়েও জানতে চান দর্শকরা।
বিশেষ করে কেন মা-বাবার পদবী ব্যবহার করেন না এই অভিনেত্রী, এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান দর্শকরাও। আসলে এর পিছনে রয়েছে এক অজানা গল্প। বাঙালি মা ও জার্মান বাবার সন্তান হলেন দিয়া। খুব কম বয়সেই জীবনের নানা চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে দিয়াকে।
জার্মান বাবা ফ্রাঙ্ক হেনড্রিচের সঙ্গে যখন তার মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। তারপর হায়দ্রাবাদের এক মুসলিম ব্যক্তি আজিজ মির্জাকে বিয়ে করেন দিয়ার মা। ছোটবেলা থেকেই দ্বিতীয় বাবার সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক তৈরী হয়েছিল দিয়ার। তার সব কথা শুনে চলতেন দিয়া। আর সেই জন্য দ্বিতীয় বাবা পদবী আজও নিজের নামের পরে বসান অভিনেত্রী।