৩ বার বিয়ে, তবুও কেন মা হতে পারেননি রেখা? প্রকাশ্যে সেই কারণ

বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রী রেখার (Rekha) জীবন যেন সিনেমা। একেবারে ছোটবেলা থেকেই নানা ঘটনার ঘনঘটার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তার জীবন। তার ব্যক্তিগত জীবনকে কেন্দ্র করে রয়েছে অনেক রহস্য। বর্তমানে ৬৯ বছর বয়সী অভিনেত্রী সিঙ্গেল জীবনযাপন করছেন। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন বিতর্কে ভরা। স্বামী সুখ যেমন পাননি, তেমনই সন্তান সুখ থেকেও বঞ্চিত অভিনেত্রী।

রেখার জীবনে একবার নয়। নাকি তিনবার বিয়ে হয়েছে। বহু পুরুষের আগমনের কথা শোনা যায় তার জীবনে। তাদের মধ্যে সবথেকে বেশি চর্চা হয়েছে অমিতাভ বচ্চন এবং রেখার সম্পর্ক নিয়ে। জয়াকে বিয়ে করা সত্ত্বেও রেখার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অমিতাভ। এমনকি তারা গোপনে বিয়েও করেন বলে শোনা যায়। একবার একটি অনুষ্ঠানে সিঁদুর পরে পৌঁছে গিয়েছিলেন রেখা। তখনও তার বিয়ে হয়নি। বলা হয় অমিতাভের কারণেই নাকি সিঁদুর পরেছিলেন রেখা।

REKHA AND VINOD MEHRA

এরপর শোনা যায় অভিনেতা বিনোদ মেহরাকে নাকি বিয়ে করেছেন রেখা। গোপনে বিয়ে হয়েছিল তাদের। কিন্তু বিনোদের মা রেখাকে বৌমা হিসেবে মানতে চাননি। এবারেও তাই সংসার করার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল তার। শেষে ১৯৯০ সালে রেখা বিয়ে করেন ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালকে। কিন্তু তার স্বামীও এক বছরের মাথায় আত্মহত্যা করেন। শোনা যায় স্বামীর সঙ্গে রেখার সম্পর্ক নাকি ভালো ছিল না। বিবাহিত জীবনে অসুখী রেখা কোনদিনও সন্তান নিতেও চাননি।

এই নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে একবার রেখা একটি সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি সন্তান পছন্দ করেন না। তার মনে হয় সন্তান থাকলে তিনি আর অন্য কিছুতে নজর দিতে পারবেন না। তিনি তার সম্পূর্ণ ফোকাস জীবনসঙ্গীকে দিতে চান। তার মনে হয় যদি সন্তান থাকে তাহলে সেই তার কাছে সবথেকে কাছের হবে। এতে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গে অন্যায় করা হবে।

আরও পড়ুন : রেখার সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে প্রশ্ন! রেগেমেগে সাংবাদিকের সঙ্গে কী করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন?

Rekha secretary Farzana

আরও পড়ুন : ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে রেখা-অমিতাভ! হাতেনাতে ধরে দুজনকে উচিত শিক্ষা দেন জয়া

স্বামীর মৃত্যুর পরেও কিন্তু রেখা আবার নতুন জীবনসঙ্গীর সন্ধানে ছিলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যদি তিনি কাউকে পান তার জীবনে তাহলে তা সবার কাছে প্রকাশ করবেন। তিনি আবার নতুন করে ভাববেন। যদি কেউ তার জীবনে আসেন তাহলে তার সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকবে সেই ব্যক্তির উপর। তার পোশাক বদলে দেওয়া, ডায়েটে নজর দেওয়া, নিজের হাতে খাবার বানানো, খাবার পৌঁছে দেওয়া এইসব তিনি নিজেই করবেন। যদিও তেমন কোনও ব্যক্তির সন্ধান রেখা এরপর আর তার জীবনে পাননি যাকে বিয়ে করা যায়।