বলিউড (Bollywood) -র অন্যতম সুন্দরী নায়িকা হলেন দিয়া মির্জা (Dia Mirza)। কমার্শিয়াল ছবির পাশাপাশি অন্য ধারার ছবিতে অভিনয় করেও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি লম্বা দৌড়ের ঘোড়া। শুধু বলিউড সফর নয়, ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও যথেষ্ট খোলামেলা, স্পষ্টভাষী তিনি। তার ব্যক্তিত্বও দুর্দান্ত। কিন্তু জানেন কি তার বাবা মা কারোর পদবী মির্জা না হওয়ার সত্বেও তিনি কেনো মির্জা পদবী ব্যবহার করেন। চলুন জেনে নিই আজকে।
২০০১ সালে ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ (Rehnaa Hai Terre Dil Mein) ছবির মাধ্যমে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন। আর তিনি তার প্রথম ছবির চরিত্রের জন্য লক্ষ লক্ষ দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বলতে গেলে প্রথম ছবি থেকেই এই অভিনেত্রী রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন। দিয়া মির্জা মাত্র ১৮ বছর বয়সে ২০০০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিকের মতো বড় খেতাব জিতেছিলেন।
তিনি তার ফিল্ম কেরিয়ারে ‘তুমকো না ভুল পায়েঙ্গে’, ‘সালাম মুম্বাই’, ‘রেহেনা হ্যায় তেরে দিল মে’, ‘ তুমসা নাহি দেখা লাগে রাহ মুন্না ভাই’ প্রমুখ জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনয় করেছেন। তাকে শেষ বড়পর্দায় দেখা গিয়েছিল সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক সঞ্জু ছবিতে। বর্তমানে তাকে অভিনয়ে সেভাবে দেখা যায় না। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা চলে।
যেমন খুব কম মানুষই জানেন যে দিয়ার আসল নাম ‘দিয়া হ্যান্ডরিচ’। কিন্তু তিনি দিয়া মির্জা লেখেন। আসলে দিয়া একজন জার্মান বংশোদ্ভূত, তার বাবার নাম ফ্রাঙ্ক হেন্ডরিচ এবং দিয়ার মা একজন বাঙালি। তারা একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু জীবনে কখনও বাবার উপাধি ব্যবহার করেননি দিয়া। কারণ তার বয়স যখন ছিল ৬ বছর তখন বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাই বাবাকে জ্ঞানত সেভাবে কাছে পাননি দিয়া। তার ওপর বিচ্ছেদের তিন বছর পর দিয়ার বাবা মারাও যান।
একই সময়ে অভিনেত্রীর বাবার মৃত্যুর পর আজিজ মির্জাকে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রীর মা। আর এ কারণেই নিজের নামের পেছনে মির্জা রাখেন এই অভিনেত্রী। দিয়া বহুবার এ কথা প্রকাশ করেছেন। আজিজ মির্জা তার সৎ বাবা হলেও তাকে খুব ভালোবাসতেন। এজন্য তিনি মির্জা উপাধি ব্যবহার করেন। তবে দ্বিতীয়বারও বাবার ছায়া খুব একটা থাকতে পারেনি দিয়া মির্জার মাথায়। আজিজ মির্জাও ২০০৪ সালে মারা যান।
আরও পড়ুন : পূজা ভাটের আসল স্বামী কে? ১১ বছর কেন স্বামীর পরিচয় লুকিয়ে রেখেছেন আলিয়ার দিদি
উল্লেখ্য, দিয়া মির্জার প্রথম বিয়ে হয়েছিল ২০১৪ সালে তার ব্যবসায়ী সাহিল সংঘের সঙ্গে। কিন্তু তাদের বিয়ে বেশিদিন টেকেনি এবং ২০১৯ সালে এই দম্পতি আলাদা হয়ে যায়। এরপর ২০২১ সালে বৈভব রেখিকে বিয়ে করেন দিয়া মির্জা। যিনি ইতিমধ্যেই বিবাহিত এবং এক কন্যার পিতাও ছিলেন। একইসঙ্গে বিয়ের কিছুদিন পরই এক ছেলের মা হন দিয়া মির্জা।
আরও পড়ুন : কোথায় হারিয়ে গেল ‘কাল হো না হো’র ছোট্ট জিয়া? দেখুন এখন কত সুন্দরী হয়েছে সে