Parle G Girl : কয়েক দশক পেরোলেও আজও অপরিবর্তিত স্বাদ ‘পার্লে -জি’ (Parle G) -র। শিশু, বৃদ্ধ বা তরুণ প্রায় সবাই এই নামটি সম্পর্কে অবগত। এই ‘পার্লে জি’র মোড়কের উপর একটি ছোট্ট মেয়ের ছবি আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। ওই ছোট্ট মেয়েটির আসল পরিচয় এখনও আমাদের অনেকেরই অজানা। কে সেই মেয়েটি? আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন তার পরিচয়।
ভারতে বিস্কুটের বাজারে ১৯২৯ সাল থেকে পথ চলা শুরু পার্লের। পার্লে কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মোহনলাল দয়াল (Mohanlaal Dayal)। এরপর ২০০৩ সালে বিশ্বের জনপ্রিয় বিস্কুটের ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে অন্যতম নাম ছিল পার্লে। এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের বয়স অনেক বেড়েছে। কিন্তু বিস্কুটের ডিজাইন থেকে শুরু করে প্যাকেজিং, সব একই রকম রয়ে গিয়েছে।
বিগত প্রায় আশি বছর ধরে পার্লে জি বিস্কুটের প্যাকেজিং একই রকম রয়েছে। সাদা হলুদ ডোরাকাটা প্যাকেটের ওপর লাল সাদা হরফে ইংরেজিতে লেখা বিস্কুটের নাম আর সেই সঙ্গে জনপ্রিয় একটি মিষ্টি বাচ্চা মেয়ের মুখ। এক নজরে দেখলে তাকে ছোট্ট মডেল বলেই মনে হয়। এই মেয়েটির সঙ্গে দশকের পর দশক ধরে গ্রাহকদের পরিচয় রয়েছে। কিন্তু তার আসল পরিচয়টাই এখনও অজানা।
বিগত প্রায় ৮ দশক ধরে গ্রাহকেরা পার্লে জি বিস্কুটের প্যাকেটে দেখছেন এই মেয়েটিকে। অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে খুদে। মুখে হাল্কা হাসি। দীর্ঘ দিন ধরে পার্লে জি বিস্কুটের প্যাকেটের এটাই কভার। কিন্তু জানেন কি কে এই খুদে? এই নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির জল্পনা বহুদিনের? আদৌ কি এমন দেখতে কোনও শিশু ছিল? নাকি শুধুই শিল্পীর কল্পনা?
আর এর মধ্যেই ফেসবুকে একটি পোস্ট খুব ভাইরাল হয়।যেখানে একদিকে ছিল পার্লে জি বিস্কুটের মেয়েটির ছবি আর তার ঠিক পাশেই ছিল জনপ্রিয় লেখিকা তথা সমাজসেবী সুধা মুরথির ছবি। এমনকি কেউ বলা হয় প্রথম যখন ছবিটি তোলা হয়েছিল তার বয়স ছিল চার বছর তিন মাস । যদিও এ বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত হয়নি।
আরও পড়ুন : বিস্কুটের গায়ে অসংখ্য ফুটো থাকে কেন?
আরও পড়ুন : ভারতে বাতিল হওয়া নোটগুলো কোথায় যায়?
যদিও পার্লে গ্রুপের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মায়াঙ্ক শাহ এই সমস্ত খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিস্কুটের প্যাকেটের কভারে ওই শিশুটি আসলে ‘ইলিউশন’। যেটা ৬০-এর দশকের গোড়ায় তৈরি করা হয়েছিল। ফলে কোম্পানির পক্ষ থেকে এই বার টাকে একপ্রকার সঠিক ধরে নেওয়ায় যায়।