বছর আর শেষ হতে মাত্র ৫ দিন বাকি। বছরের শেষ লগ্নে বারবার মনে পড়ে যায় সারা বছরের বিভিন্ন স্মৃতি। আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে জি বাংলা এবং স্টার জলসার বিভিন্ন ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকগুলির বিভিন্ন চরিত্রের সঙ্গে আমরা কোথাও যেন নিজেদের একাত্ম করে ফেলি। চলুন আজ দেখে নেব ২০২৩ সালের বাংলা ধারাবাহিকের সব থেকে জনপ্রিয় পাঁচটি চরিত্র।
দীপা : স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা মানুষের মধ্যে এখনো বর্তমান। এই সিরিয়ালে আমরা দেখেছি কিভাবে একটি মেয়ে নিজের সন্তানদের নিয়ে জীবন যুদ্ধে লড়াই করছে। শ্যাম বর্ণা এই মেয়েটির জীবনযুদ্ধ মানুষের এতটাই ভালো লেগেছে যে টিআরপির তালিকায় এই ধারাবাহিকটি চিরকালই থাকে উপরের দিকে।
জগদ্ধাত্রী : কোন ন্যাকা কান্না নয় বরং অপরাধীদের চোখে চোখ রেখে কিভাবে লড়াই করা যায় তা আমাদের শিখিয়েছে জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri)। বাড়ির কাজের পাশাপাশি সমান তালে সে পালন করে পুলিশের কর্তব্য। অন্যায়ের সাথে কোনভাবেই আপোষ করে না সে। জগদ্ধাত্রীর এই কনফিডেন্স এবং সাহসিকতাই আম জনতার ভীষণ পছন্দের।
পর্ণা : ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) ধারাবাহিকে পর্ণা নামক চরিত্রটি শ্বশুর বাড়ির সকলের যত্ন করার পাশাপাশি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। শাশুড়ি মার থেকে বারবার অপমানিত হলেও সে শ্বশুরবাড়ি বা স্বামীকে ছেড়ে যাবার কথা ভাবতেও পারে না। এই চরিত্রটি যেমন নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করে তেমন চায় সকলে যাতে ভালো থাকুক। সৃজন এবং পর্নার এই ভালোবাসা এবং সংসারের গল্প দেখতে ভীষণ পছন্দ করেন দর্শকরা।
আরও পড়ুন : ভারতের সবথেকে জঘন্য সিরিয়াল কোনটি? প্রকাশ্যে এল সমীক্ষার ফলাফল
শিমুল : ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) এমন একটি ধারাবাহিক, যেটি আমাদের জীবনে ঘটে চলা বাস্তব দৃশ্যটিকে তুলে ধরেছে। কোন ন্যাকামো নয় বরং সত্যকে সকলের সামনে উন্মোচিত করার বারবার চেষ্টা করা হয়েছে এই সিরিয়ালের মাধ্যমে। শিমুল চরিত্রটির সাথে বহু মানুষ নিজেকে মেলাতে পেরেছেন যারা শ্বশুরবাড়িতে প্রতিনিয়ত অপমানিত এবং অবহেলিত হন।
আরও পড়ুন : দর্শকের বিচারে স্টার জলসার সেরা সিরিয়াল কোনটি? প্রকাশ্যে এল সমীক্ষার ফলাফল
মেঘ : ভীষণ শান্ত এবং স্নিগ্ধ স্বভাবের মেয়ে ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Icche Putul) সিরিয়ালের মেঘ। দিদির হবু স্বামীর সঙ্গে আচমকাই বিয়ে হয়ে যায় মেঘের কিন্তু বিয়ের পর থেকে নিজের স্বামীকে প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে ছিল সে। কিন্তু যখন দিনের পর দিন মেঘের আত্মসম্মানকে আঘাত করে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা, তখন শ্বশুরবাড়ি এবং স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেঘ। চরিত্রটির দৃঢ়তা এবং আত্মসম্মানবোধ বারবার আকর্ষণ করেছে সকলকে।