১৯৯৪ সালে সালমান খান-মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত ছবি ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ আজও দর্শকদের মধ্যে হিট। আজ এত বছর পেরিয়েও সিনেমাটির জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। বিশেষ করে সিনেমার গানগুলো এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এই সিনেমাতে একটি সাদা কুকুরও ছিল। তারকাদের মধ্যে নজর কেড়েছিল সেও। এখন কোথায় আছে সে?
স্পিচ প্রজাতির যে সাদা কুকুরটিকে এই সিনেমাতে দেখানো হয় অনস্ক্রিন তার নাম ছিল টাফি। কুকুর হলেও তার গুরুত্ব কিন্তু মোটেও কম ছিল না এই সিনেমায়। সিনেমাটিতে দেখানো হয় কীভাবে বাড়ির সবার চোখের মণি ছিল সে। তাকে কখনও গানের দৃশ্যে দেখানো হয়, কখনও গাড়িতে চড়ে শুটিং করেছিল সে, আবার কখনও ক্রিকেট ম্যাচের অ্যাম্পেয়ার হিসেবে দেখানো হয় তাকে।
তবে টাফি সবথেকে বড় কাজটা করেছিল সিনেমার একেবারে ক্লাইম্যাক্সে। নায়ক এবং নায়িকা অর্থাৎ প্রেম এবং নিশার বিয়েটা তো তার জন্যই হয়েছিল। সেই না থাকলে প্রেম ও নিশার প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারতো না কেউ। এহেন গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা টাফি এখন কোথায়? সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সিনেমার নায়িকা খোদ মাধুরী দীক্ষিত।
কৌন বানেগা ক্রোড়পতির মঞ্চে মাধুরী দীক্ষিত এসেছিলেন একবার। অমিতাভ বচ্চন এবং মাধুরীর মধ্যে টাফিকে নিয়ে কথা উঠলে মাধুরী জানান সিনেমা শেষ হওয়ার পর তিনি ওই কুকুরটিকে দত্তক নিয়ে নিয়েছিলেন। টাফির আসল নাম ছিল রেডো। সিনেমার পাশাপাশি বাস্তবেও নায়িকার খুবই কাছের হয়ে উঠেছিল সে। তাই মাধুরী তাকে ছাড়তে পারেননি।
আরও পড়ুন : মেকআপ ছাড়া কেমন দেখতে লাগে বলিউড নায়িকাদের? দেখুন ছবি
আরও পড়ুন : ৯০ দশকের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত নায়িকা কে? টাকার অঙ্ক শুনলে চমকে যাবেন
রেডো এরপর মাধুরীর কাছেই থাকতে শুরু করে। প্রায় ৬ বছর সে মাধুরীর কাছে ছিল। কিন্তু ২০০০ সালে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। তখন তার বয়স ছিল ১২ বছর। টাফি ওরফে রেডো দর্শকদেরও মন জয় করেছিল। এখনও সিনেমাটি দেখলে টাফির সম্পর্কে কৌতুহল জাগে দর্শকদের মনে। মাধুরী সেই কৌতুহল নিরসন করেন। টাফি আর বেঁচে নেই শুনে মনে মনে কষ্ট পেয়েছেন দর্শকরা। তবে মাধুরী যে তাকে দত্তক নিয়েছিলেন সে কথা শুনে তারা খুশিই হয়েছেন।