বাংলা টেলিভিশন (Bengali Telivision) ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে অভিনেত্রী ছিলেন মিতা চ্যাটার্জী (Mita Chatterjee)। একটা সময় ছিল যখন ইন্ডাস্ট্রির কুটিল পিসিমা কিংবা শাশুড়ি চরিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের ভালো লাগতো। আবার স্নেহশীলা অভিভাবিকার ভূমিকাতেও তিনি ছিলেন অনবদ্য। আজও দর্শকরা তাকে মনে রেখেছেন ‘জন্মভূমি’ ধারাবাহিকের পিসিমা চরিত্রটির জন্য। কিন্তু গত আড়াই বছর ধরে তাকে আর ক্যামেরায় দেখা যায় না।
আড়াই বছর নিজেকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন মিতা চ্যাটার্জী। শেষবার তাকে দেখা গিয়েছিল জি বাংলার ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকে। কোথায় আছেন তিনি? কেমন আছেন টলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী?
ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি পা রেখেছিলেন ১৯৪৭ সালের হেমেন বসুর ‘ভুলি নাই’ ছবিতে একজন শিশুশিল্পী হিসেবে। তার আসল নাম নমিতা চ্যাটার্জী। একই নামের দুই নায়িকা থাকায় যাতে নাম নিয়ে বিভ্রান্তি না ছাড়ায় তার জন্য অনুপ কুমার নমিতার নাম রেখে দেন মিতা।
অভিনয়ের পাশাপাশি নাচ, গান, খেলাধুলা, পড়াশোনাতেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্তা। রাজেন বসুর কাছে গান শিখেছিলেন, মনি শংকর মহাশয়ের কাছে শিখেছিলেন নাচ। বাংলা, ইংরেজি, হিন্দির পাশাপাশি নেপালি ভাষাতেও বেশ দক্ষ তিনি। সে সঙ্গে টেবিল টেনিস থেকে সাঁতার সবই জানেন।
একাধারে বহু গুণের অধিকারিনী ছিলেন মিতা চ্যাটার্জী। তার জীবনের মূল মন্ত্রটাই হল ‘করবো এবং পারব’। তাইতো বিয়ের মাত্র বছরখানেকের মধ্যে স্বামী সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেও ভেঙে পড়েননি মিতা। স্বামীকে হারিয়ে একরত্তি মেয়েকে মানুষ করেছেন তিনি একা।
স্বামী হারা সংসারে মেয়েকে মানুষ করার পাশাপাশি অভিনয়টাও সমান তালে চালিয়ে গিয়েছেন মিতা। তার জীবনে অনেক ঝড়-ঝাপটা এসেছে। কিন্তু মিতা চ্যাটার্জী কখনও থেমে থাকেননি। করোনা সংক্রমণের কারণে এখন বিশেষ অভিনয় করেন না তিনি। এটাই কারণ তাকে এখন অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে না।