১৯৮৫ সালে ‘অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টারজান’ (Adventures of Tarzan) ছবির সেই সুন্দরী নায়িকাকে নিশ্চয়ই ভুলে যাননি আপনি? এই একটি ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি বলিউড (Bollywood) -র প্রথম সারির অভিনেত্রীদের তালিকায় শামিল হয়েছিল তার নাম। তবে এরপর হাতে গোনা কিছু ছবিতে অভিনয় করার পর বলিউডে আর দেখা যায়নি ‘টারজান গার্ল’ (Tarzan Girl) ওরফে কিমি কাটকর (Kimi Katkar) -কে। কেন হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি জানলে শিউরে উঠবেন।
জন্ম ১৯৬৫ সালে মুম্বাইতে, আসল নাম নয়নতারা কাটকর। তার বাবা এবং মা দুজনে বলিউডে কর্মরত ছিলেন। কিমির বাবা জুনিয়র আর্টিস্ট যোগাতেন। তার মা ছিলেন পোশাক শিল্পী। ছেলেবেলা থেকেই তাই বলিউডের প্রতি তার টান তৈরি হয়েছিল। মাত্র ১৭ বছর বয়সে মডেলিং শুরু করেন কিমি। মডেলিং করে তিনি বেশ সুনাম অর্জন করছিলেন তিনি।
‘কিস কা খেল’ ছবি দিয়ে বলিউডে প্রবেশের সুযোগ পান তিনি। কিন্তু তার এই ছবিটি সেভাবে চলেনি। ১৯৮৫ সালে ‘পাথ্থর দিল’ ছবিতে তিনি একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন। সেই ছবির পরিচালক বব্বর সুভাষ ‘অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টারজান’ ছবির জন্য নায়িকা হিসেবে কিমিকে পছন্দ করে ফেলেন। এই একটি ছবি তার কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
বলিউডের ‘টারজান গার্ল’
শুধু কিমিকে দেখার জন্যই হলে উপচে পড়তে থাকে দর্শক। আর এই ছবি থেকেই ‘টারজান গার্ল’ হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেন অভিনেত্রী। এরপর একে একে আরও অনেক ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে তার হাতে। রাজ বব্বর, জিতেন্দ্র, রজনীকান্ত, অমিতাভ বচ্চন, জ্যাকি শ্রফ, গোবিন্দা এবং অনিল কাপুরের সঙ্গেও তিনি কাজ করেন। একই সঙ্গে বিবাহিত তারকাদের সঙ্গে তার নাম জড়াতে শুরু করে।
বিগ্রেড নায়িকা হিসেবে পরিচিতি
অনিল কাপুর, জ্যাকি শ্রফ থেকে শুরু করে মণীশ বহল, ড্যানি ডেনজংপা, সঞ্জয় দত্ত, গোবিন্দার সঙ্গে তার প্রেমের খবরে তোলপাড় হতে শুরু করে বলিউড। এদিকে ওই সময় কিমির সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে তাকে সেভাবেই পর্দায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করতেন ছবি নির্মাতারা। যে কারণে তাকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ছোট পোশাকে এবং সাহসী দৃশ্যে কাজ করতে বাধ্য করা হত। ইন্ডাস্ট্রিতে ক্রমশ বিগ্রেড নায়িকা হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুন : মায়ের থেকেও সুন্দরী মেয়ে! ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র ভাগ্যশ্রীর মেয়েকে দেখলে সরবে না চোখ
আরও পড়ুন : কোথায় হারিয়ে গেলেন ‘তুম তো ঠেহরে পরদেসি’ গায়ক আলতাফ রাজা
এরপর অভিনয় ছেড়ে প্রযোজক শান্তনু শোরেকে বিয়ে করে নেন তিনি। বিয়ের পর তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু তাদের সন্তান এক বিরল রোগের ভুগছিলেন। সেই রোগের চিকিৎসা ভারতে করানো যেত না। তাই ২০০১ সালে ছেলেকে নিয়ে সপরিবারে অস্ট্রেলিয়াতে চলে যান অভিনেত্রী। এখন অবশ্য গোয়াতে তিনি তার স্বামী এবং সন্তানের সঙ্গে থাকেন। রাস্তাঘাটে এখন নাকি তাকে মাঝে মধ্যেই দেখা যায় কিন্তু অনেকেই তাকে ঠিক চিনে উঠতে পারেন না।