রানু মন্ডল, বাদাম কাকু থেকে মহাকুম্ভের মোনালিসা, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলত এরকম বহু মানুষের ভাগ্য বদলে গিয়েছে। ভিক্ষা করে, বাদাম বেচে কিংবা মালা বেচে অতি কষ্টে যাদের দিন কাটত, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তারা রাতারাতি খ্যাতি, প্রচার, জনপ্রিয়তা এবং টাকাও পেয়েছিলেন। কেউ সেসব ধরে রাখতে পেরেছেন। কেউ অতলে হারিয়ে গিয়েছেন। আজ আপনাদের শোনাবো তেমন কিছু মানুষের গল্প।
রানু মন্ডল : পাঁচ বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ভাইরাল হয়েছিলেন রানু মন্ডল। রানাঘাট স্টেশনে লতা মঙ্গেশকরের গান গেয়ে তিনি রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। এবার বিভিন্ন টিভি শো, অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যেতে থাকে। হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গেও কাজ করে ফেলেন রানু। কিন্তু এত খ্যাতি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। আজ রানু মন্ডলের অবস্থা খুবই করুন। মানুষের হাসির খোরাকে পরিণত হতে হতে তিনি ছিটকে গিয়েছেন লাইমলাইট থেকে।
সহদেব দিরদো : ‘বাচপান কা পেয়ার’ গেয়ে ভাইরাল হয়েছিল ১০ বছরের সহদেব। ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীও তার প্রশংসা করেছিলেন। সেখান থেকে ইন্টারনেটের সেন্সেশনে পরিণত হয়েছিল সে রাতারাতি। বলিউডের বিখ্যাত র্যাপার বাদশাও তার সঙ্গে কাজ করেন। এখন আর সহদেবকে সোশ্যাল মিডিয়াতে কোথাও পাওয়া যায় না।
ভুবন বাদ্যকর : সবার কাছে তিনি পরিচিত বাদাম কাকু হিসাবে। কাঁচা বাদাম গানটি গেয়ে তিনিও অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। খুলে ফেলেছিলেন নিজস্ব ইউটিউব। করে সেই গানের সত্ব অন্য একটি কোম্পানিকে তিনি বিক্রি করবেন না বুঝেই। তারপর থেকে নিজের গান আর গাইতে পারেন না বাদাম কাকু। এখন আর তার সেই আগের মত খ্যাতিও নেই।
আরও পড়ুন : লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কুকুরে পরিণত হলেন এই ব্যক্তি! কান্ড দেখে নেট নাগরিকদের চোখ উঠলো কপালে
সঞ্জীব শ্রীবাস্তব : গোবিন্দার গানের নেচে ভাইরাল হয়েছিলেন সঞ্জীব শ্রীবাস্তব। তাকে সবাই চেনেন ডাব্বু আঙ্কেল নামে। কিন্তু ওই একবারই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। এরপর তার আর কোনও নাচ নেট নাগরিকদের মনে ধরেনি।
আরও পড়ুন : ১ টাকাও উপার্জন নেই, মানুষ টর্চার করে! রানু মন্ডলের বর্তমান অবস্থা শুনলে চোখে জল আসবে
ধিনচ্যাক পূজা : বেসুরে গান গেয়ে জনপ্রিয়তা করিয়েছিলেন ধিনচ্যাক পূজাও। সেলফি ম্যায়নে লে লি, দিল কা স্কুটার, সোয়াগ ওয়ালি টোপির মত বেশ কিছু গান গেয়ে তিনি কিছুদিনের জন্য লাইম লাইটে ছিলেন। তারপর আসতে আসতে তারও খ্যাতি কমতে থাকে।