Rekha`s Beauty Secrets : হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী রেখা (Rekha) -র রূপে-গুণে মুগ্ধ প্রায় গোটা গ্ল্যামারাস দুনিয়া। পারফেক্ট কেউই হোন না, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তারপর নিজেকে সকলের থেকে আলাদা করা সম্ভব হয়। ষাট পেরিয়ে গেলেও রেখাকে এখনও ২৮বছর বয়সি যুবতীই মনে হয়।আপনিও যদি রেখার মত বয়সকে হার মানাতে চান তাহলে জেনে নিন রেখার সৌন্দর্য্যের রহস্য (Beauty Tips From Rekha)।
১.ত্বকের জেল্লার জন্য দৈনন্দিন যত্ন নেওয়া যে কতটা জরুরি তা আমাদের সকলেরই জানি। ত্বকের পরিচর্যায় সিটিএম (CTM) – ক্লিনজিং (Cleanging), টোনিং (Tonning) এবং ময়শ্চারাইজিং (Moisturizing) করা খুবই জরুরি। এছাড়াও নিয়মিত বিউটি রুটিনের পাশাপাশি অ্যারোমাথেরাপি (Aromatherapy) ব্যবহার করেন। ত্বকের তেল উত্পাদনের ভারসাম্য বজায় রাখতে ত্বকে প্রয়োজনীয় তেল প্রয়োগ করেন।তাই রেখা নিয়মিত এই নিয়ম মেনে চলেন।
২. এছাড়াও অভিনেত্রীদের পেশাগত কারণে সবসময়ই মেক আপ ব্যবহার করতে হয়। মেকআপ ছাড়া তারা বাইরেও খুব কমই বেরোন। কিন্তু আমরা সবাই জানি মেকআপে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিকের কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই রেখা রাতে ঘুমোনোর আগে মেক আপ তুলতে কখনওই ভোলেন না।
৩. ত্বকের যত্নে জলের ভূমিকা অতুলনীয়। তেমনটাই মনে করেন রেখাও। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সারা দিনে কমপক্ষে দশ থেকে বারো গ্লাস জল খান তিনি। সেই সঙ্গে অভিনেত্রী মেনে চলেন স্বাস্থ্যকর ডায়েটও। বাইরের তেল-মশলাদার খাবার ছুঁয়েও দেখেন না রেখা।
৪. রেখার উজ্জ্বল ত্বকের আরও একটি রহস্য হল ঘরোয়া উপায়ে তৈরি ফেসপ্যাকের ব্যবহার। বাজারচলতি কোনও প্রসাধনী তেমন ব্যবহার করেন না রেখা। বরং রূপচর্চার জন্য ভরসা রাখেন বাড়িতে তৈরি কিছু ঘরোয়া টোটকায়। একটি সাক্ষাৎকারে তেমন একটি ফেসপ্যাকের কথা বলেও ছিলেন রেখা। ডিম, মধু, দই একসঙ্গে মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে ত্বকে মাখেন। রেখার মতো ত্বক চাইলে আপনিও ব্যবহার করতে পারেন এই প্যাক।
আরও পড়ুন : জীবনেও পার্লার যেতে হয়নি, ত্বক ও চুলের যত্নে বাড়িতে কী কী করেন সৌমিতৃষা?
৫. ত্বকের পাশাপাশি চুলকে উজ্জ্বল ও কোমল রাখার জন্য একটি বিশেষ হেয়ার প্যাক ব্যবহার করেন। দই, মধু ও ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে চুলের প্যাক ব্যবহার করেন। এছাড়াও কৃত্রিম হেয়ার প্রোডাক্ট যেমন স্ট্রেইটনার, কার্লার ও হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা এড়িয়ে চলেন তিনি।
আরও পড়ুন : ৬০ পেরোলেও লাস্যময়ী, যৌবন ধরে রাখতে রোজ এই ছোট্ট কাজ করেন নীতা আম্বানি