৭ই মে ২০২৫। দেশজুড়ে অসামরিক মহড়া চলবে আজ। বাংলার বিভিন্ন জেলাসহ গোটা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আজ মক ড্রিল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সামরিক বিভাগের তরফ থেকে শেখানো হবে যুদ্ধের সময় দেশের সাধারণ মানুষ কীভাবে নিজেদের রক্ষা করবেন। কীভাবে শত্রুপক্ষের বোমার আঘাত থেকে বাঁচবেন, গোলাগুলি এবং বোমাবর্ষণে কোন কোন উপায়ে বাঁচবে প্রাণ। কারণ দেশ এখন পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অবস্থায় পাকিস্থান আক্রমণ করলে আত্মরক্ষা করতে কী কী করা উচিত জেনে রাখুন আপনিও।
মক ড্রিল কী?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় ৭ই মে বুধবার দেশ জুড়ে অসামরিক মহড়া চালানো হবে। যদি সত্যিই যুদ্ধ বাঁধে সেক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের বিমান হানা শুরু হলে কী কী করলে সাধারণ মানুষ যুদ্ধের সময় নিজের, পরিবারের এবং অন্যান্যদের প্রাণ বাঁচাতে পারবেন সেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি রাজ্যের সিভিল ডিফেন্সকে আত্মরক্ষার মহড়া দিতে বলা হয়েছে। আজ দেশজুড়ে মোট ২৫৯টি জায়গায় মহড়া চলবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার ৩১ টি জায়গা রয়েছে। বিমান হামলার সময় সতর্কতার সাইরেন বাজলে কিংবা হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হলে কী কী করতে হবে সেসব বলে দেওয়া হবে এই মহড়ায়।
সাইরেন বাজলে কী করতে হবে?
যুদ্ধের সময় সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়। এই আওয়াজ খুবই জোরে হয় যাতে অন্তত ২ থেকে ৫ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়। সাইরেনের শব্দ যাতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই প্রশাসনিক ভবন, পুলিশের সদর দপ্তর, ফায়ার স্টেশন, সামরিক ঘাঁটি এবং শহরের জনবহুল এলাকার সবথেকে উঁচু জায়গাতে লাগানো হয়। সাইরেনের শব্দ শুনলেই করবেন এই কাজগুলো –
- সবার আগে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিন। এই সময় ঘরে থাকাই নিরাপদ। কেউ বাইরে থাকলে শব্দের থেকে বাঁচতে দুই হাতে কান চেপে দ্রুত কোনও বাড়ি কিংবা কোনও নিরাপদ ভবনে ঢুকে পড়ুন।
- জানলা নেই, দেওয়াল খুব পুরু, এরকম ভবনের যতটা সম্ভব নিচতলা অথবা বেসমেন্টে পৌঁছে যেতে পারলে সবথেকে ভালো। খাটের তল বা টেবিলের নিচে আশ্রয় নিলেও অন্তত প্রাণটা বেচে যেতে পারে।
- এই অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম, গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতের কাছে রাখুন।
- আগুন নেভানোর বাবস্থা রাখুন।
ব্ল্যাক আউট হলে কী করবেন?
যুদ্ধের সময় ব্ল্যাকআউট করে দেওয়াটা একটা আত্মরক্ষার কৌশল। বিশেষ করে আবাসিক এলাকা, কলকারখানা ও হাসপাতালগুলোর উপর শত্রুপক্ষের নজর এড়াতে ওই গোটা এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া উচিত অথবা নিজেরাই সব আলো নিভিয়ে অন্ধকার করে দিতে হবে। ব্ল্যাক আউটের অবস্থা হলে যা যা করবেন,
- রাস্তার আলো, বাড়ি ও দোকানের সব আলো বন্ধ করে দিন। পুরো অন্ধকারে ঢেকে ফেলতে হবে আপনার এলাকা।
- প্রয়োজনে টর্চ লাইট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আর কোনও ইলেকট্রনিক্স ব্যবহার করা যাবে না।
- ওই সময় রাস্তায় গাড়ি চালালে গাড়ির আলো যতটা সম্ভব হালকা করুন।
- সবসময় টিভি এবং রেডিওতে খবরে নজর রাখুন। যাতে সরকারের তরফ থেকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট এলে মিস না হয়।
আরও পড়ুন : আরও সহজ হল UPI লেনদেন! আগামী মাসেই চালু হবে নতুন নিয়ম
আরও পড়ুন : ১০ ডিজিটেই লুকিয়ে আপনার সব তথ্য! প্যান কার্ডের ১০ টি সংখ্যার মানে কী?
কী কী হাতের কাছে রাখবেন?
- টর্চ,
- প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম,
- গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র,
- কিছু টাকা-পয়সা।