শর্মিলা ঠাকুর এবং মনসুর আলি খান পতৌদির বিয়েটা কার্যত বলিউডের মোস্ট হাইপ্রোফাইল বিয়ের মধ্যে অন্যতম ছিল। সত্তরের দশকে শর্মিলার কেরিয়ার যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই তিনি ভালোবেসে ভিন ধর্মে বিয়ে করেন মনসুরকে। এর জন্য অবশ্য বেশ কিছু মাসুলও দিতে হয়েছে শর্মিলাকে। নিতে হয়েছে নতুন ধর্ম, বদলে ফেলতে হয়েছে নাম। শুধু তাই নয়, এর উপরে আবার শর্মিলার উপর আরেকটা শর্ত চাপিয়ে দেন মনসুর, যা আজও মেনে চলছেন শর্মিলা। কী ছিল সেই শর্ত?
ঠাকুর পরিবারের মেয়ে শর্মিলা। একসময় টলিউড এবং বলিউডের সেরা অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। মুসলমান নবাব মনসুর আলি খান পতৌদিকে বিয়ে করে তিনি হন নবাবের বেগম। অবশ্য নবাবকে স্বামী হিসেবে পেতে গিয়ে বিয়ের সময় ইসলাম ধর্ম নিতে হয়েছিল শর্মিলাকে। সেই সঙ্গে তার নতুন নাম হয় আয়েশা বেগম। সেই সঙ্গে নিকাহনামায় আরেকটি শর্ত চাপিয়ে দেন মনসুর। শর্তটি ছিল ক্রিকেট খেলা নিয়ে।
সকলেই জানেন মনসুর আলি খান তৎকালীন সময়ের একজন ক্রিকেটার ছিলেন। তিনি ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন। শর্মিলার সঙ্গে বিয়ের সময় নিকাহনামায় তিনি লিখেছিলেন, “বিয়ের মধ্যে কোনওভাবেই ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।” এই শর্ত আজীবন মেনে চলেছেন শর্মিলা। বিয়ের পরেও তিনি মনসুরের ক্রিকেট জীবন সম্পর্কে কোনওদিনই কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন : এই কারণে রাজেশ খান্নার সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দেন শর্মিলা ঠাকুর! জানলে চমকে যাবেন
আরও পড়ুন : কেন ভেঙেছিল সইফ-অমৃতার বিয়ে? কলকাঠি নেড়েছিল কে?
অবশ্য বিয়ের আগে এই ক্রিকেট নিয়েই কিন্তু মনসুরকে একটা শর্ত দিয়েছিলেন শর্মিলাও। মনসুর যখন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তখন শর্মিলা বলেছিলেন পরের ম্যাচে তাকে পরপর তিনটে ছয় মারতে হবে। তবেই তিনি বিয়ের জন্য রাজি হবেন। নয়তো নয়। সেই শর্ত রেখেছিলেন মনসুরও। পরের ম্যাচেই তিনি তিনটে ছক্কা মেরেছিলেন। শর্মিলাও আর বিয়ের প্রস্তাবে না বলতে পারেননি। সেই কারণেই কি মনসুর বিয়ের সময় শর্মিলাকে ওরকম একটা শর্তে বেঁধে ফেলেছিলেন? সেটা অবশ্য জানা যায়নি।