রাগী, বদমেজাজি খিটখিটে স্বভাবের বলে বলিউডের (Bollywood) অন্দরে বেশ দুর্নাম রয়েছে জয়া বচ্চনের (Jaya Bachchan)। মেজাজ হারিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে মাঝেমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিশেষ করে সাংবাদিকদের তো তিনি আবার দুচোখে সহ্য করতে পারেন না। ছবি তুলতে এলেই রাগে ফেটে পড়েন তিনি তা সে সাংবাদিক হন কিংবা সাধারণ মানুষ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে জয়া বচ্চনের আচরণ দেখে বেজায় অসন্তুষ্ট হন নেটিজেনরা। বহুবার এমন হয়েছে যে জয়ার ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিকরা তার থেকে শাপ-শাপান্ত পেয়েছেন। প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার করতে দেখে অমিতাভ বচ্চনের পত্নীর অহংকারী মনোভাবের বিরোধিতা করেছিলেন নেটজনতা। এতেও অবশ্য জয়া নিজেকে একটুও বদলাননি।
কথায় কথায় এমন রেগে যান কেন জয়া বচ্চন? কেন সাংবাদিকরা তার দু চোখের বিষ? বেশ কিছু সময় আগে এই প্রসঙ্গে তিনি একবার মুখ খুলেছিলেন। জয়া বলেন, “কেউ যদি আমার সামনে ভুল কিছু করে আমি তা দেখে চুপ করে থাকতে পারি না। যা বলব যা করব সব সামনাসামনি।” তিনি এও জানান যে কেন সাংবাদিকদের প্রতি তার মনোভাব এতটা রুক্ষ।
জয়ার কথায়, লোকজনের বোকামির জন্য আমার কাছে সময় নেই। যদি আমার আপনার থেকে কিছু শেখার হয় আমি নিশ্চয়ই শিখব। তখন আমায় আর বদমেজাজি মনে হবে না। তবে কোনও বোকামি আমি মেনে নেব না আর তার জন্য সময় নেই আমার। আমি বদমেজাজি হিসেবেই ঠিক আছি। কেউ অযথা আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে তা আমি মেনে নেব না।”
স্ত্রীর এই স্বভাব সম্পর্কে মুখ খুলতে গিয়ে অমিতাভ বচ্চন মেনেই নেন তার স্ত্রী একজন প্রতিক্রিয়াশীল মানুষ। কে কী বলছেন তাতে বিশেষ গুরুত্ব দেন না। তিনি স্বাধীনচেতা, তার সম্পর্কে কে কী বলছে তাতে তার কিছু যায় আসে না। অন্যদিকে অমিতাভ-জয়ার কন্যা শ্বেতা অবশ্য মায়ের পক্ষ নিয়ে বলেন না বলে ছবি তোলা পছন্দ করেন না জয়া।
শ্বেতা একবার জানিয়েছিলেন খুব ভিড়ের মধ্যে থাকলে জয়ার দম বন্ধ হয়ে আসে। তার মায়ের আশেপাশে খুব বেশি মানুষ ভিড় করলে তার অসুবিধা হয়। উল্লেখ্য, জয়া বচ্চনকে শেষবার ২০১৩ সালে ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘সানগ্লাস’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল। এই বছরে জুলাই মাসে করণ জোহরের ‘রকি অউর রানী কি প্রেম কাহানি’তে দেখা যাবে তাকে।