বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে বহিরাগত নায়ক কিংবা নায়িকাদের পক্ষে টিকে থাকা বেশ সংগ্রামের বিষয়। নেপোটিজমের বলে বহিরাগতদের তুলনায় অনেকাংশেই এগিয়ে থাকেন তারকা সন্তানরা। তবুও ২ দশক আগে বলিউডে ক্রমশ মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছিলেন অমৃতা রাও (Amrita Rao)। কোনও ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকা সত্ত্বেও অমৃতা একের পর এক সুপারহিট ছবির নায়িকা ছিলেন সেই সময়।
ইশক ভিশক থেকে শুরু করে ম্যায় হু না, মস্তি, বিবাহ-এর (Vivah) মত একাধিক সুপারহিট ছবি ছিল তার ঝুলিতে। কিন্তু তা সত্বেও পরবর্তী দিনে অভিনয় জীবন থেকে একেবারেই সরে যান অমৃতা। সম্প্রতি তিনি এবং তার স্বামী আরজে আনমোলের প্রকাশিত বই ‘কাপল অফ থিংস’তে জীবনের নানা অজানা তথ্য সামনে নিয়ে এসেছেন। সেখানেই অমৃত জানিয়েছেন কেন তিনি হঠাৎ করে ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে গেলেন
অমৃতা তার বইতে লিখেছেন তার কেরিয়ারের বেশ কিছু সুপারহিট ছবি থাকা সত্ত্বেও কখনও তার কেরিয়ার মসৃণ ছিল না। তখনকার দিনের নামিদামি ফিল্ম ম্যাগাজিনগুলি কভার শ্যুটের জন্য কখনও তার কাছে আসেনি। যদিও ‘বিবাহ’ ছবির সাফল্যের পর অবশ্য তাকে এবং শাহিদকে নিয়ে একটি ফটো শুট করা হয়েছিল। সেখানে অমৃতা ও শাহিদকছ মাঝে রেখে বাকি প্রতিযোগীদের পাশে রেখে ফটোশুট হয়।
কিন্তু ওই ম্যাগাজিন বেরোনোর পর অমৃতা দেখেন সেখানে তার ছবি নেই, পরিবর্তে অন্য ছবি দেওয়া হয়েছে। তিনি তার এক সাংবাদিক বন্ধুর থেকে জেনেছিলেন এক তারকা অভিনেত্রীর কথায় প্রচ্ছদের কভার নতুন করে সাজানো হয়। সেই তারকা অভিনেত্রী আদতে কে? অমৃতা সরাসরি তার নাম না নিলেও নামের আদ্যক্ষরটি প্রকাশ করেছেন। সেই অভিনেত্রীর নাম ‘K’ দিয়ে শুরু।
বলিউডে বহিরাগতরা কীভাবে রাজনীতির শিকার হয় সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন অমৃতা। তিনি অস্ট্রেলিয়ার এক ট্যারোট কার্ড রিডারের থেকে জেনেছিলেন এক অভিনেত্রী তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। তার নাম শুরু হয় কে দিয়ে। ওই ট্যারোট কার্ড রিডার তাকে সতর্ক করে বলেছিলেন বর্তমানে তিনি যে দুটি চলচ্চিত্রের জন্য শুটিং করছেন সেগুলো বক্স অফিসে ভালো যাবে না। সেই সঙ্গে কে বর্ণমালার মহিলা অভিনেত্রীর থেকেও তিনি তাকে সতর্ক করেন।
এর আগে একাধিক সাক্ষাৎকারে অমৃতাকে করিনা এবং শাহিদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল। একসময় বলিউডে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল যে এই দুই তারকার বিচ্ছেদের জন্য নাকি অমৃতা দায়ী। অমৃতা বলেন তিনি তখন চুপচাপ ছিলেন তার কারণ তিনি জানতেন সত্যিটা একসময় সবাই জানতে পারবেন।