খুনের দায়ে গ্রেফতার পরিচালক! বন্ধ হল জনপ্রিয় ধারাবাহিকের শুটিং

গত রবিবার গভীর রাতের ঘটনায় কার্যত তোলপাড় টলিউড। রবিবার ঠাকুরপুকুর এলাকায় গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন পথচারী। আহত হয়েছেন আরও বেশ কিছু জন। এই ঘটনার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সিরিয়াল পরিচালক ভিক্টো দাসের। কারণ গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনিই। তার বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস, কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসুরও নাম জড়িয়েছে। আর এইসব কারণেই ভিক্টোর পরিচালিত সিরিয়ালের শুটিং অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল।

বর্তমানে সান বাংলাতে ভিক্টোর ভিডিও বৌমা ধারাবাহিকের সম্প্রচার চলছে। এই ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন আরিয়ান ভৌমিক। সম্প্রতি এই সিরিয়ালের টিআরপি বেশ ভালো উঠেছিল। সেই সেলিব্রেশন করতেই রবিবার রাতে একটি পানশালায় হাজির হয়েছিলেন অভিযুক্তরা। সেখান থেকে ফেরার পথেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ভিক্টো। তাকে ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়। তবে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শ্রিয়া।

Video Bouma Serial Shooting Stopped Due To Thakurpur Car Accident

এদিকে পরিচালক যেহেতু জেলে তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল ভিডিও বৌমা সিরিয়ালের শুটিং। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কার্যনির্বাহী প্রযোজকদের নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠক করেছে। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের কর্মক্ষেত্র থেকে বাতিল ঘোষণা করার ডাক দেওয়া হচ্ছে। রবিবার মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ৬ জনকে ধাক্কা দেন অভিযুক্ত পরিচালক। তাতে জখম অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় একজনের। সোমবার ভিক্টোকে আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে।

আরও পড়ুন : রাতারাতি বদলে গেল নায়ক! ‘গীতা এলএলবি’তে পা রাখবেন এই নতুন অভিনেতা

victo das

আরও পড়ুন : সৌমিত্র ছেড়ে দেওয়া ছবি করেই অমিতাভ আজ এত বড় সুপারস্টার! কী ছিল সেই ছবি?

যদিও এই প্রসঙ্গে নিহত এবং আহতদের পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে এটি একটি ইচ্ছাকৃত খুন। গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল। পরে স্পিড বাড়িয়ে ধাক্কা মারা হয়। এমনকি গাড়ির মধ্যে সাতটি মদের বোতল এবং গাজার কলকেও পাওয়া যায়। যদিও পুলিশের এফআইআর কপিতে এইসব বাজেয়াপ্ত দ্রব্যের উল্লেখ ছিল না। এমনকি গাফিলতির অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। নিহত আমিনুর রহমান দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় পুলিশের কোনও সাহায্য পাননি। তাকে কোনও এম্বুলেন্স দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে জায়গা না পেয়ে পথেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশের বিরুদ্ধেও তাই অসহযোগিতার অভিযোগ আনছেন নিহতের পরিবার।