মেয়ের সঙ্গে নোংরা কাজ করতেন বছরের পর বছর, বাবার কুকীর্তি ফাঁস করে দেন উরফি

বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রী উরফি জাভেদ (Urfi Javed) সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে ইদানিং দারুণ জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। তিনি সর্বাধিক চর্চিত হন তার নিজের বানানো অদ্ভুত পোশাকের কারণে। সাধারণত সেসব খোলামেলা পোশাকে শরীরের উর্ধাঙ্গের প্রায় সবটাই প্রকাশ্যে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে উরফি একজন বিতর্কিত সুপারস্টার।

বিগ বস ওটিটিতে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন উরফি। সেখানে ফেলে দেওয়া কালো প্লাস্টিক গায়ে জড়িয়ে পোশাক বানিয়েছিলেন তিনি। তারপর বিগ বস থেকে আউট হয়ে অদ্ভুত অদ্ভুত ডিজাইনের পোশাক বানিয়েই চলেছেন উরফি। খোলামেলা পোশাকে লাস্যময়ী উরফিকে দেখতে বেশ পছন্দ করেন ভক্তরা। এহেন উরফির একটি পুরনো সাক্ষাৎকার সম্প্রতি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

উরফি তার সেই পুরনো সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেছিলেন কীভাবে ছোটবেলাতে তিনি তার নিজের বাবার হাতেই অত্যাচারিত হতেন। তার বাবা বহুদিন আগেই তাদের পরিবার ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখন বোন এবং মাকে নিয়ে সংসারটা তাকেই দেখতে হয়। তিনজনের সংসারের দায়িত্ব উরফি নিজের কাঁধেই নিয়েছেন। তার মা জাকিয়া সুলতানা এবং দুই বোনের সংসারের ভরণপোষণের ভার রয়েছে তার উপর।

উরফি জানিয়েছেন তার বাবা বছরের পর তার উপর অত্যাচার করেছেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। একদিন বাধ্য হয়েই মা এবং বোনকে নিয়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এরপর তার বাবা আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তিনি আর প্রথম পক্ষের স্ত্রী কিংবা সন্তানদের দায়িত্ব নেননি। অন্যদিকে বড় সন্তান হিসেবে সেই দায়িত্বটা নিতে হয়েছিল উরফিকে।

Urfi Javed

খুব ছোটতেই ভীষণ খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল উরফিকে। মাত্র ১১ বছর বয়সেই তার ছবি অ্যাডাল্ট সাইটে পোস্ট করে দেওয়া হয়। এরপর সমাজে তাকে বাঁকা নজরে দেখা হতে থাকে। অতটুকু বয়সেই তাকে শুনতে হয়েছে তিনি নাকি পর্নস্টার। কখনও এই লড়াইয়ে তিনি তার পরিবারকে পাশে পাননি। নিজের পরিবারের কাছেই চরম অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল তাকে।

উরফি বলেন তাকে সকলে খুব খারাপ নামে ডাকত। অবশেষে একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি। যাওয়ার সময় মা এবং দুই বোনকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন। তারা প্রথমে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে চলে যান। এক সপ্তাহ একটি পার্কে দিন কাটিয়েছিলেন উরফিরা। তারপর একটি কল সেন্টারের কাজ নিয়েছিলেন উরফি। এরপর তিনি দিল্লি থেকে মুম্বাইতে আসেন এবং ফ্যাশন ডিজাইনারের সহকর্মী হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। আজ তিনি নিজেই একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। মা-বোনসহ পরিবারের দায়িত্ব তিনি নিজেই নিতে পেরেছেন।