৯০ এর দশকে বলিউডের (Bollywood) নামী সুপারস্টারদের মধ্যে একজন ছিলেন জ্যাকি শ্রফ (Jackie Shroff)। তিনি তার জীবনে অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছেন। নায়ক কিংবা খলনায়ক হিসেবে যে ছবিতেই অভিনয় করুন না, জ্যাকির প্রত্যেকটি ছবি বক্স অফিসে অনেক ভাল ব্যবসা করেছে। পর্দায় একাধিক নায়িকার সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা গিয়েছে তাকে। তাদের মধ্যে মীনাক্ষী শেষাদ্রির (Meenakshi Sheshadri) সঙ্গে জ্যাকি শ্রফের জুটি সেই সময় দারুণ পছন্দ করতেন দর্শকরা।
মীনাক্ষী এবং জ্যাকি শ্রফের প্রেম যে শুধু পর্দাতেই সীমাবদ্ধ ছিল তেমনটা কিন্তু নয়। একসময় সত্যি সত্যিই তারা একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন। সুভাষ ঘাই পরিচালিত সুপার হিট ছবি ‘হিরো’তে প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেছিলেন জ্যাকি এবং মীনাক্ষী। সেই ছবি বক্স অফিসে ঝড় তোলার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তব জীবনেও জ্যাকি এবং মীনাক্ষীর রসায়ন তুঙ্গে ওঠে।
জ্যাকি এবং মীনাক্ষী দুজনেই সেই সময় একে অপরের প্রেমে পাগল ছিলেন। আশির দশকে জ্যাকি শ্রফের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘হিরো’ ছবিই বলতে গেলে জ্যাকি এবং মীনাক্ষীর ভাগ্য বদলে দেয়। ছবি সফল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির তারকাদের তালিকায় জায়গা করে নেন। আবার এই ছবিতে শুটিং করতে গিয়েই ধীরে ধীরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কিন্তু প্রথম প্রথম অবশ্য তারা তাদের এই প্রেমের খবরটা লুকিয়েই রেখেছিলেন। গোপনে প্রেম করলেও প্রথমে নাকি তারা কাউকেই তাদের সম্পর্কের কথা টের পেতে দেননি। লুকিয়ে লুকিয়ে বহুদিন প্রেম করেছেন হিরো জুটির নায়ক-নায়িকা। কিন্তু একে অপরকে ভীষণ ভালবাসলেও তাদের সম্পর্কটা পরিণতি পায়নি।
৯০ এর দশকের শুরুর দিকেই জ্যাকি এবং মীনাক্ষীর সম্পর্কটা ভেঙে যেতে শুরু করে। ওই সময় পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী নাকি অভিনেত্রীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মীনাক্ষী সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। একটা সময় পর মীনাক্ষী নিজেকে অভিনয় থেকে সরিয়েই নেন। তবে জ্যাকি অবশ্য বহুদিন পর্যন্ত অভিনয় করে গিয়েছেন।
এদিকে মীনাক্ষী কেরিয়ারের শীর্ষে থাকতে থাকতেই নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেন। সাফল্যের শীর্ষে থাকার সময় তিনি বিয়ে করে আমেরিকায় চলে যান। এরপর আর কখনও বলিউডে দেখা যায়নি তাকে। বর্তমানে মীনাক্ষী আমেরিকাতেই থাকেন। তবে কিছুদিন আগে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এ বহুদিন বাদে তাকে বিচারকের আসনে দেখা গিয়েছিল।