বিয়ের রাতেই ৪ সন্তানের মা হয়ে যান কবিতা কৃষ্ণমূর্তি। গায়িকার জীবনের এই সিক্রেট ৯৯% মানুষই জানেন না। বলিউডের সুপার হিট গায়িকা কবিতা কৃষ্ণমূর্তির গোটা জীবন জুড়ে রয়েছে অনেক ওঠাপড়া। তার ব্যক্তিগত জীবনে রয়েছে অনেক রহস্য। ৪ সন্তানের বাবাকে বিয়ে করে অপরের সন্তানকে মায়ের স্নেহ দিয়ে মানুষ করেছেন তিনি। নিজে মা না হয়ে মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছেন অন্যের সন্তানকে।
কবিতা কৃষ্ণমূর্তির সুরেলা কন্ঠের জাদুতে আচ্ছন্ন গোটা দেশ। তবে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কবিতা মুম্বাইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। কলেজের ফেস্টে তার গান শোনেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কন্যা রাণু মুখোপাধ্যায়। তিনিই কবিতার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে বাবার কাছে নিয়ে যান। কবিতাকে নিজের গানের অনুষ্ঠানে গাওয়ার সুযোগ করে দেন হেমন্ত। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
এরকম টুকটাক অনুষ্ঠান করতে করতেই কবিতার সামনে আসে বলিউডে প্লেব্যাক করার সুযোগ। ১৯৮৫ সালে ‘পেয়ার ঝুকতা নেহি’ ছবিতে গান গেয়ে রাতারাতি তিনি জনপ্রিয়তা পান। এরপর একে একে মিস্টার ইন্ডিয়া, ১৯৪২ আর লাভ স্টোরি, ইয়ারানা, অগ্নিসাক্ষী, খামোশীর মত একাধিক সিনেমাতে তিনি গান গেয়েছেন। তিনি ভেবেছিলেন সারাটা জীবন সংগীত সাধনা করেই কাটাবেন। কিন্তু ৪০ বছর বয়সে এসে তিনি তার প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গেন।
আজীবন বিয়ে করতে না চাওয়া কবিতা ৪০ বছর বয়সে ডি এল সুব্রামানিয়ামকে তার স্বামী হিসেবে বেছে নেন। দুজনের বয়সের পার্থক্য ছিল ১১ বছর। বিয়ের পরই কবিতার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। বিয়ের পরপরই তিনি চারটি বড় বড় সন্তানের মা হয়ে যান। আসলে কবিতা ছিলেন সুব্রামানিয়ামের দ্বিতীয় স্ত্রী। তার ৪ সন্তান ছিল। দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে। বিয়ের পর কবিতা সুব্রামানিয়ামের ছেলেমেয়েদেরকেই নিজের ছেলেমেয়ের মত স্নেহ এবং ভালবাসা দেন।
আরও পড়ুন : একাই ১০টি পুরস্কার পেল এই ছবি, শাহরুখ-সালমানকে টপকে ‘সেরা নায়ক’ এই অভিনেতা
আরও পড়ুন : ৬৭ তেই প্রাণ হারাবেন শাহরুখ-সালমান! জ্যোতিষীর গণনায় তোলপাড়
তাদের চার সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে এবং এক ছেলে সংগীত দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত। তবে আরেক ছেলে নারায়ণ পেশায় একজন চিকিৎসক। এভাবেই ছেলে মেয়ে এবং স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার গুছিয়ে নিয়েছেন কবিতা। তবে বিগত ৩০ বছর ধরে কবিতা হাঁপানি রোগে ভুগছেন। তার শরীরে এই রোগ খুব গুরুতরভাবে ভাবে দেখা দেয় মাঝেমধ্যেই। তবে সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আজও গান গেয়ে চলেছেন কবিতা। কারণ গান এখনো যে তার প্রথম ভালবাসা।