টলিউডের (Tollywood) জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির (Srabanti Chatterjee) কর্মজীবন নিয়ে যতটা না আলোচনা হয়, তার থেকেও বেশি ব্যক্তিগত জীবনের কারণে চর্চায় থাকেন অভিনেত্রী। তার ব্যক্তিগত জীবনে অনেক উত্থান পতন রয়েছে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাড়ির অমতে প্রেমিককে বিয়ে করা থেকে শুরু করে জীবনে ৩ বার বিয়ে, ডিভোর্সের পর আবার নতুন সম্পর্কে জড়ানোর কারণে বারবার বিতর্কের কেন্দ্রেই থেকেছেন তিনি।
১৯৯৭ সালে প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে প্রসেনজিতের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করে শিশু শিল্পী হিসেবে টলিউডে পা রেখেছিলেন শ্রাবন্তী। নায়িকা হিসেবে ২০০৩ সালে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন। জিতের ‘চ্যাম্পিয়ন’ ছবিতে প্রথমবার নায়িকা হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। এরপরই ব্যক্তিগত জীবনে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন শ্রাবন্তী। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি পরিচালক রাজীব বিশ্বাসকে বিয়ে করে নেন।
বিয়ের পর অভিনয় জগত থেকে কিছুটা দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি। এক বছরের মাথাতেই তার কোলজুড়ে আসে ঝিনুক। এরপর ছেলেকে নিয়ে রাজীবের থেকে আলাদা হয়ে যান শ্রাবন্তী। তারপরই আবার টলিউডে ফিরে আসেন তিনি। পাঁচ বছর পর ২০০৮ সালে ‘ভালবাসা ভালবাসা’ ছবির মাধ্যমে তিনি আবার পর্দার সামনে ফিরে আসেন। এরপর আর শ্রাবন্তীকে ফিরে তাকাতে হয়নি।
একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করার সুবাদে রাতারাতি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান শ্রাবন্তী। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও জল্পনা বাড়তে থাকে। রাজিবের পর মডেল কৃষ্ণ ব্রজ, রোশন সিংদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তবে এই এই সম্পর্ক গুলোর মেয়াদ হয়েছিল মাত্র এক বছর। তৃতীয় স্বামী রোশনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিরূপ নাগ চৌধুরীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে ফের গুঞ্জন শুরু হয়।
শ্রাবন্তীর চতুর্থ বিয়ে নিয়ে জল্পনার মাঝেই শোনা যাচ্ছে অভিরূপের সঙ্গে নাকি তার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। যদিও এই জল্পনা মানতে চাননি শ্রাবন্তী। তার দাবি অভিরূপের সঙ্গে তার সম্পর্ক এখনও ভাল রয়েছে। অভিরূপের কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তিনি। তবে কেন বারবার বিয়ে করেন, বিয়ে ভাঙেন শ্রাবন্তী এই সম্পর্কে একবার মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী। বারবার সম্পর্কে জড়ানো এবং বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে নিজের যুক্তি দেখিয়েছিলেন তিনি।
শ্রাবন্তী মনে করেন জীবনে সবসময় নিজের শর্তে বাঁচা উচিত। যদি কোনও সম্পর্কে ভাল না থাকা যায় তাহলে তিক্ততা না বাড়িয়ে বরং বেরিয়ে আসাই ভাল। আর যাকে বিয়ে করতে হবে তার সঙ্গেই আগামী ৬০-৭০ বছর কাটাতেই হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা আছে বলে তিনি মনে করেন না। শ্রাবন্তীর মতে, “আমরা প্রতিদিন ভাল থাকতে চাই, ভাল পরতে চাই। তাহলে ভাল সম্পর্কের খোঁজ করতে জীবনের বাঁধা কাটিয়ে উঠে নতুন করে সন্ধান করাটা কি খুব অন্যায়ের?”