সমস্যা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। স্বামী-স্ত্রী দুজনের মানসিকতার মিল না থাকলে বিচ্ছেদ অনিবার্য। তবে শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা করে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন সুবান রায় (Suban Roy)। তার পরেও বিচ্ছেদ নিয়ে আলাদা হতে হল বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় জুটি তিয়াসা রায় (Tiyasha Roy) এবং সুবান রায়কে। খবর পেয়ে মন খারাপ ভক্তদের।
সুবানের হাত ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন। ‘কৃষ্ণকলি’র (Krishnokoli) শ্যামা হয়ে দর্শকদের থেকে প্রচুর ভালোবাসাও পেয়েছিলেন তিয়াসা। জনপ্রিয়তা ক্রমে বাড়তে থাকে। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে সুবান এবং তিয়াসার মধ্যে দূরত্বও নাকি বাড়তে থাকে। গত বছরই তাদের বিচ্ছেদের খবর রটে যায় ইন্ডাস্ট্রিতে। এও শোনা যায় তারা নাকি আলাদা আলাদা থাকছেন।
আদালতের নির্দেশ মেনে বিচ্ছেদের আবেদনের ৯ মাস পর্যন্ত দুজনকে আলাদা থাকতে হয়েছিল। শেষমেষ এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই খাতায়-কলমে বিচ্ছেদ হল তাদের। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে বিচ্ছেদের খবরে সীলমোহর দিয়ে তিয়াসা জানিয়েছেন তার এবং সুবানের চিন্তাধারার পার্থক্যটাই তাদের বিচ্ছেদের কারণ। এইভাবে বেশিদিন সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার থেকে পথ আলাদা করে নেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তারা।
সুবান এবং তিয়াসার মাঝে বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে অনেকে আবার তিয়াসার জনপ্রিয়তাকেই কারণ হিসেবে দাবি করেছিলেন। সুবানের থেকে সাফল্য এবং জনপ্রিয়তার বিচারে এগিয়ে রয়েছেন তিয়াসা। তবে এই দাবি মানতে চান না তিয়াসা। তার কখনও মনে হয়নি সুবান তাকে হিংসে করেন। তার সাফ দাবি, ‘আলাদা হয়ে যাওয়া মানে কাদা ছোড়াছুড়ি নয়। বরং তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব এখনও আছে। শুধু মানিয়ে নেওয়ার সমস্যার কারণেই আলাদা থাকা।’
এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে হিন্দুস্থান টাইমস বাংলাকে সুবান বলেছিলেন, ‘ঝগড়া-অশান্তি হতেই পারে, কিন্তু তাই বলে দুম করে ডিভোর্স হয়ে যাবে এটাতে আমি বিশ্বাসী নই। বিয়ের সম্পর্কটা খুব পবিত্র বলে আমি বিশ্বাস করি, এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেটা টিকিয়ে রাখবার চেষ্টা আমি করব।’ ২০১৭ সালে বিয়ের পর ৫ বছরের মাথাতেই সম্পর্ক ভেঙে আলাদা পথ বেছে নিলেন তিয়াসা এবং সুবান।