Jawan : বলিউড (Bollywood) হোক কিংবা দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, গোটা দেশের কাছে এখন বিনোদনের একটাই নাম শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) এবং জওয়ান (Jawan)। পাঠান ছবির পর জওয়ান ছবির মাধ্যমে আরও বড় কাম ব্যাক করেছেন শাহরুখ খান। দক্ষিণী পরিচালক অ্যাটলি কুমার (Atlee Kumar) -র নামও উঠে আসছে সেই সঙ্গে। কারণ শাহরুখ এবং অ্যাটলি মিলে যে সিনেমা বানিয়েছেন সেটা কার্যত ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারতীয় সিনেমায়।
জওয়ান ছবি নিয়ে চারদিকে এত হইচই, এত মাতামাতি, এত প্রশংসা চলছে। তবে তার মধ্যেই পরিচালকের বিরুদ্ধে উঠলো গল্প চুরি করার অভিযোগ। এই অভিযোগ করছেন দর্শকদেরই একাংশ। তাদের দাবি ছবির গল্পে নাকি নতুনত্ব কিছু নেই। কারণ এই ছবির গল্প চুরি করা হয়েছে একটি তামিল ছবি থেকে। টুইটারে এই অভিযোগ করছেন দর্শকদের একাংশ।
দর্শকদের অভিযোগ, ১৯৮৯ সালের একটি তামিল ছবি থেকে হুবহু গল্প টুকে নিয়েছেন অ্যাটলি কুমার। ওই বছর ‘থাইনাডু’ অর্থাৎ বাংলা ভাষাতে অনুবাদ করলে দাঁড়ায় মাতৃভূমি নামের একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। সেই ছবিতে অভিনেতা সত্যরাজকে পিতা এবং পুত্রের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। ছবিটি যারা দেখেছেন, তারা এই দুই ছবির মধ্যে অনেক মিল পাচ্ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই ওই ছবির পোস্টার শেয়ার করে লিখছেন ‘‘জওয়ানের অরিজিনাল তামিল সংস্করণ ১৯৮৯”। এই খবর প্রকাশিত হতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যদিও শাহরুখ ভক্তদের দাবি, ছবিতে খানিক দক্ষিণী সিনেমার ছাপ থাকলেও জওয়ানের গল্প একেবারেই মৌলিক। এটাকে টুকলি বলা চলে না।
তবে তাতেও কিন্তু পরিচালক অ্যাটলি কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল ওঠা বন্ধ হয়নি। এর আগেও তার বিরুদ্ধে অন্যের গল্প চুরি করে ছবি বানানোর অভিযোগ উঠেছিল। যেমন ২০১৯ সালের ‘বিগলী’ ছবির ক্ষেত্রে অভিযোগ করা হয় ‘স্ল্যামসসার’ নামের একটি ছবির গল্প টুকেছেন পরিচালক। এই অভিযোগ করেছিলেন ওই ছবির নির্মাতা নন্দী চিন্নি রেড্ডি।
আরও পড়ুন : Jawan ছবিতে শাহরুখের এই ৭ ডায়লগ শুনলে হুঁশ উড়ে যাবে আপনার
ஜவான் ஒரிஜினல் தமிழ் வெர்ஷன் – 1989. pic.twitter.com/G0KD0u7Qb0
— மாடர்ன் திராவிடன் (@moderndravidan) September 7, 2023
আরও পড়ুন : কোন ৫ শর্তে ‘পাঠান’কে হারিয়ে দিল ‘জওয়ান’? রইল দর্শকদের রায়
এখানেই শেষ নয়, অ্যাটলি কুমারের বিরুদ্ধে পুরনো ছবির গল্প টোকার অভিযোগের পাহাড় রয়েছে। ২০১৭ সালে তিনি একটি ছবি বানিয়েছিলেন থালাপতি বিজয় এবং সামান্থা রূথ প্রভুকে নিয়ে। সেই ছবিটি রজনীকান্তের একটি ছবির গল্পের কপি ছিল। আবার ২০১৬ সালে তিনি ‘থেরি’ নামে যে ছবিটি বানিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ওঠে।